চাঁদপুরের ৫টি আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৯ বৈধ প্রার্থী। ১৭ ডিসেম্বর রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
এক তথ্যে দেখা যায়, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো হেভিওয়েট প্রার্থী ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জাকের পার্টির মোঃ নুরুল ইসলাম বেপারী, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে জাতীয় পার্টির ডাঃ একেএসএম শহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মোঃ মাসউদুল আহসান, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) জাকের পার্টির মোঃ ওবায়েদ মোল্লা এবং চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে জাকের পার্টির মোঃ মুকবুল আহমেদ সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
তথ্যে আরও দেখা যায়, জেলার ৫টি আসনে মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র ছিলো ৪৩টি। যেখানে প্রথমে বৈধ হয়েছিলো ৩২টি এবং বাতিল হয় ১১টি। যার মধ্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই করে সঠিক না হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ গোলাম হোসেন, একই অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শওকত হোসেন মিয়া, মোঃ রাহাদ চৌধুরী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার না হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ জামাল হোসাইন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোঃ সেলিম প্রধান, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে ঋণখেলাপী হওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর মোঃ শাহ আলম সরকার, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ঋণখেলাপীর অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সেলিম, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই করে সঠিক না হওয়ায় মোঃ জাকির হোসেন প্রধানিয়া, ফরম ২০ ও ২১ পূরণসহ স্বাক্ষর না থাকায় জাসদ প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন মজুমদার এবং হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের কারণে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের প্রার্থী আক্তার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পরবর্তীতে বাতিলের বিরুদ্ধে ৬ জন আপিল করেন এবং গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেন ৩ জন। যেখানে আপিল মঞ্জুর হয় ৩ জনের। সেমতে চাঁদপুর-১ আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোঃ সেলিম প্রধান, চাঁদপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ, চাঁদপুর-৫ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আকতার হোসেন বৈধতা পেয়েছেন। সবশেষ ৬ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ২৯ জন।
ভোটাররা বলছেন, বিএনপি মাঠে না থাকায় চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সেলিম মাহমুদ অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে চাঁদপুর-২ আসনে মায়ার নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের এম ইসফাক আহসান, চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার ডাঃ দীপু মনির প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, চাঁদপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা জালাল আহমেদ, জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ, বিএনএম-এর মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান এবং চাঁদপুর-৫ আসনে মেজর রফিকুল ইসলামের নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মাঈনুদ্দিনের মধ্যে ‘খেলা’ হবে।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।