• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সদর ও হাইমচর জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে আলোচনা সভা

শিক্ষামন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মাতৃসুলভ আচরণে কাজ করে যাচ্ছেন : ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ

প্রকাশ:  ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে ‘মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরস্থ বিষ্ণুদী ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় অংশ নেন দুটি উপজেলার পাঁচ শতাধিক শিক্ষক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকগণকে নিয়ে আজকের আলোচনা সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এটি সেমিনারে রূপ নিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষকগণ তাঁদের বক্তব্যে যথার্থ ও সঠিক বলেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে গবেষণা করা হয়েছে, এখনো হচ্ছে, সামনে আরো হবে। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা নতুন কোনো শিক্ষা নয়। এটি অনেক প্রাচীন শিক্ষা। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আসহাবে সুফফার মাধ্যমে মসজিদে নববীতে এবং নবীজির ঘরের পাশে এই দ্বীনি শিক্ষার প্রবর্তন হয়েছে। সে থেকেই এই মাদ্রাসার শিক্ষা চলছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত চলবে। তিনি আরো বলেন, আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আর এটি একটি নূরানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কোরআন এবং নূর নবীজির হাদিস শিক্ষা দান করা হয়। এই শিক্ষা যারা গ্রহণ করেন তাদের চলার পথে ফেরেশতারা তাদের পাখা বিছিয়ে দেয় এবং যাদের সন্তান এই মাদ্রাসায় পড়েন কেয়ামতের দিন তাদের পিতা-মাতাকে নূরের টুপি মাথায় পরিয়ে উঠাবেন। আর আপনারাই সেই শিক্ষক। আপনাদের সেবা করার জন্যে আমাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যারা মাদ্রাসা শিক্ষার সাথে জড়িত আমি তাদের একজন নগণ্য খাদেম। এই খাদেমের দায়িত্ব পালনের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার প্রস্তাবনা দিয়েছেন চাঁদপুরের রত্ন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। আমি তাঁকেও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে আরো কৃতজ্ঞতা জানাই চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলাবাসীকে। আপনারা ডাঃ দীপু মনিকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছেন। তার জন্যই তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। আর আপনাদের কারণেই তিনি আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমরা যারা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কাছে থেকে কাজ করছি তারা দেখেছি তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কতটা আন্তরিক। শিক্ষামন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মাতৃসুলভ আচরণে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একশ’ বছরের দাবির ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদে উপস্থাপন করে পাস করিয়েছেন। আজকে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা শিক্ষার যুগোপযোগী আধুনিকায়নের চ্যালেঞ্জে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবির) চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ফরহাদুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক নিয়ন্ত্রক সালেহ আহমদ, দিনাজপুর ভাবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ হাসান মাসুদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ও বিষ্ণুদী ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি এইচএম আনোয়ার মোল্লা।
অনুষ্ঠনে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দ্রা বাজার নূরিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সদর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সভাপতি এটিএম মোস্তফা হামিদী। আরো বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি ভোলদিঘি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মতলব উত্তর ফরাজিকান্দী ওয়ায়েছিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আতাউল করিম মুজাহিদ, রাজারগাঁও ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনিসুর রহমান, মতলব দারুল উলুম ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, রামপুর আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন, হাইমচর আলগী বাজার আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান ফারুকী।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিষ্ণুদী ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন। ওছমানিয়া ফাযিল মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বিষ্ণুদী ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রভাষক মাওঃ মোঃ আল আমিন মিজি ও নাতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পরিবেশন করেন বিষ্ণুদী মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ মেহেদী হাসান। উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। সবশেষে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি এইচএম আনোয়ার মোল্লা।

সর্বাধিক পঠিত