কেমিকেল মিশ্রিত ড্রাগন ফলে বাজার সয়লাব
এমন এক ফল যা খেলে মানবদেহের ডিএনএ পরিবর্তনসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ, অথচ না জেনেই আমরা এমন ফল খাচ্ছি অহরহ। চোখ কপালে তোলার মত বিস্ময়কর তথ্য হলো বর্তমােেন সময়ে আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ফল ড্রাগনই সেই ফল। তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের টুকটুকে লাল রঙের ড্রাগন ফল নয়, বরং সম্প্রতি বাজারে কিনতে পাওয়া ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পরিমাপের আংশিক লাল এবং হলদে-সবুজ বর্ণের ড্রাগন ফল হচ্ছে সেই ফল।
চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সকল জেলা-উপজেলার প্রায় সব বাজারেই ফলের দোকানগুলোতে চোখে পড়ে বড় সাইজের এসব ড্রাগন ফলের, যা কিনা নীরব ঘাতক হিসেবে ক্ষতি করছে আমার, আপনার এবং কোমলমতি শিশুর শরীরের।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) ফল কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এই ফলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, ফলের মধ্যে বাসায় বাচ্চারা ড্রাগন খেতে পছন্দ করে। তাই ভিন্ন সময়ে ফল কিনতে আসলে অন্যান্য ফলের তুলনায় ড্রাগন ফলই কেনা হয়।
কথা হয় কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীর সাথে। ফলে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রণ এবং ফলের আকারে বড় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা আড়ত থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি। এগুলো কীভাবে এত বড় হয় কিংবা কীভাবে এগুলোর চাষ করা হয় তা জানা নেই। তবে আগে ছোট আকৃতির লাল বর্ণের ড্রাগন আসতো, এখন বড় আকৃতির ড্রাগনগুলো আসে।
কৃষি বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা একটি পরিপক্ব ড্রাগন দুশ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম এবং লাল বর্ণের হয়। অধিক লাভের আসায় কিছু আসাধু চাষি ড্রাগন ফলের ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তিনবার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ টনিক স্প্রে করে। যে কারণে একেকটি ড্রাগনের ওজন আটশ’ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। খুব সহসাই আমি বিষয়টি দেখবো এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।