চাঁদপুরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে
চাঁদপুরের কৃতী সন্তান সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য ড. শামসুল আলমের চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের জন্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ না করা এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর-৪-এর পাশাপাশি চাঁদপুর-৩ আসনের জন্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয় নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এ নিয়ে নানা ধরনের গুজবও রয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম গত ২১ নভেম্বর তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি জানান। এতোদিন নির্বাচন নিয়ে নানাভাবে ঢাকঢোল পেটানো হলেও হঠাৎ করেই কেনো এই সিদ্ধান্ত নিলেন, এ বিষয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা। যদিও এ ব্যাপারে ড. শামসুল আলম নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০২৩ জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে দলীয় ঘোষণাপত্র কমিটি, আওয়ামী লীগ দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে ইশতেহার প্রণয়নে যুক্ত আছি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন। দলীয় কার্যক্রমে আমি পূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাবো’।
এদিকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর-৪-এর পাশাপাশি চাঁদপুর-৩ আসনের জন্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে সাবেক এমপির নিজের বা নিকটজনের কাছ থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের গুজব রয়েছে।
একটি সূত্র মতে, তিনি দুটি আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এবং জমা দিয়েছেন। এদিকে ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি হয়ে এবং বতর্মানে আবারো এই আসনের অন্যতম দলীয় মনোনয়নের দাবিদার হলেও কেনো চাঁদপুর-৩ আসনের জন্যে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই বিষয়টি নিয়ে সাবেক এমপির নিজের নির্বাচনী এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে বলে জানা গেছে। সাবেক এমপির পক্ষের লোকজন বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে দেখলেও প্রতিপক্ষরা দেখছেন অন্যভাবে।