মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের যৌথ সভা
‘এসো মিলি মুক্তির মোহনায়’ এ স্লোগানকে ধারণ করে ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হয়ে আসছে। মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক ও নাট্য মঞ্চায়নের লক্ষ্যে নাট্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে চাঁদপুর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি ও সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় মঞ্চে যারা সংস্কৃতিক ও নাটক পরিবেশন করবে তাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশ করতে হবে। এক বছর আগে বিজয় মেলায় এসে নাটক করেছেন, সারাবছর কোনো কার্যক্রম ছিলো না এমন সংগঠনকে বিজয় মেলায় অনুষ্ঠান করা উচিত নয়। এ বছর আমরা এ বিষয়টি দেখবো। আমরা চিনি না জানি না এমন ব্যক্তিকে দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান বিজয় মেলা মঞ্চে করাবেন না। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের মাঝ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে যাচ্ছেন। তাদের স্মৃতিচারণ শুনতে এক সময় এ বিজয় মেলায় রাত জেগে দর্শনার্থীরা বসে থাকতো। অনেক রাতে আমরা নাটক শুরু করে ভোর রাতে শেষ করতে হয়েছে। এখন আর এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি বিজয় মেলায় নেই। এটা একটা প্রেক্ষাপটের কারণে হয়েছে। সাংস্কৃতিক ও নাট্য অনুষ্ঠানের জন্য আমরা যে সিডিউল তৈরি করবো তা পরিবর্তন পরিবর্ধন করা যাবে না।
বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, প্যানেল মেয়র ও চাঁদপুর ড্রামার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইলিয়াস, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, নাট্য পরিষদের আহ্বায়ক ও অনুপম নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ মণ্ডল, সারদা দেবী সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ নীহার রঞ্জন হালদার মিলন, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বপ্নকুড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভানেত্রী সুলতানা আক্তার সেতু।
আরো উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠ শিল্পী মনোজ আচার্যী, সুরধ্বনি সঙ্গীত একাডেমির অনিতা নন্দী, পুনাক সংগীত প্রশিক্ষক শিপ্রা মজুমদার, সপ্তরূপা নিত্য শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ অনিমা সেন চৌধুরী, উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়ের নৃত্য প্রশিক্ষক আভা রায় অপু, সুরধ্বনি নিত্য শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ সোমা দত্ত, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিঙ্কু, কণ্ঠ শিল্পী বীরেন সাহা, রক্সি মিউজিক্যাল একাডেমির অ্যাডঃ বিশ্বজিৎ কর রানা, নটমঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা পিএম বিল্লাল হোসাইন, বঙ্গজ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর স্বজন সাহা, তবল শিল্পী ও চাঁদপুর ড্রামার নাট্যশিল্পী পরিমল দাস নুপুর, মেঘনা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ডাক্তার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর আহ্বায়ক মনির হোসেন মান্না, সদস্য সচিব অভিজিৎ রায়, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জীবন, সদস্য শাহজাহান খান, গিটার শিল্পী দিলীপ কুমার ঘোষ, কচুয়া রহিমানগর ঝিলমিল সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি টিএইচ মোহন, অরুপ নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক সাধন দত্তসহ আরো অনেকে।