• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে মিধিলির প্রভাবে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ:  ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ফরিদগঞ্জে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে ১৬টি ইউনিয়নের কৃষি আবাদ নির্ভর অধিকাংশ পরিবার। কৃষি নির্ভর এ উপজেলার সবজির চাহিদা মিটিয়ে শীতকালীন সবজি পাশের জেলা-উপজেলাগুলোতে বিক্রি হয় বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৮৩৭০ হেক্টর জমিতে আমন ফসলসহ ৯০৯০ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে আমন ৮৫ হেক্টর, শাক-সবজি ৩৯০ হেক্টর, ধনিয়া ৭৫ হেক্টর, সরিষা ৪০ হেক্টর, খিরা ২০ হেক্টর ও মরিচ ১৯ হেক্টর।
সবজি চাষী জাকির হোসেন, আলমগীর হোসেন ও আব্দুল করিম জানান, সবজি বিক্রি করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে কিছু টাকা ইনকাম করতাম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে আমাদের আবাদ করা সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমাদের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শীতকালীন সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে আমন ফসলের বড় ধরনের  ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় অধিনস্থ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে প্রায় ২৮ ঘন্টা পর ফরিদগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। তবে উপজেলার অনেক স্থানেই এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এর আগে মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়,  প্রচুর বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার কারণে ফরিদগঞ্জে প্রায় অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। অন্তত শতাধিক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এছাড়া অন্তত ৪/৫শত গাছ  ও গাছের ডাল বিদ্যুতের লাইনে পড়ে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌঃ কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন রাতদিন পরিশ্রম করে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুতের লাইন চালু করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, আমি নিজেও স্বশরীরে উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে কাজ করছি।

 

সর্বাধিক পঠিত