সেতুটি নির্মাণ হলে সর্বসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে মতলব-গজারিয়া সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে এ এলাকার জনগণ। দীর্ঘদিনের এ দাবি বাস্তবায়ন হতে চলছে। গত মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে সংযোগ স্থাপনকারী ঝুলন্ত সেতু। এটি মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর উপর নির্মিত হবে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই সেতু।
মতলব-গজারিয়া সেতু একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়ায় বুধবার ৮ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের বেলতলী শাহ সোলাইমান লেংটার মাজার সংলগ্ন মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মধ্যে এই সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের পর থেকে ঢাকার সাথে চাঁদপুরের সড়ক দূরত্ব কমিয়ে আনবে ৫২ কিলোমিটার। একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে আমি বিজয়ী হয়ে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে ডিও লেটার দিই। পরে জাতীয় সংসদে সেতু বাস্তবায়নে বক্তব্য দিই। তারপর এই সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। প্রকল্প চলবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। দেশীয় অর্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আরো বলেন, আমি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাবর অনুরোধ করার পর তিনি সেতু বিভাগের সচিব মনজুরুল আলম এবং যুগ্ম সচিব ভিখারদ্দৌলা চৌধুরীকে সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেন। সেতুটি নির্মাণ হলে সর্বসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় সেতুটি পাস করায় মতলববাসীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহ সোলাইমান লেংটার মাজার শরীফের খাদেম মতিউর রহমান লাল মিয়া, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, ফরাজিকান্দি ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিকে ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মোহাম্মদ বাবুল, যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রব, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আশরাফুল আলম মিলন মুন্সী, যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান পাটোয়ারী, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নূরে আলম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারসহ আওয়ামী লীগ অঙ্গ-সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।