শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে হবে : মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেছে শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল ৬ নভেম্বর বিকেলে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা থেকে মিছিল শুরু হয়ে কালিয়াপাড়া গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন এগিয়ে চলছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি পরিচিত নাম। শাহরাস্তি হাজীগঞ্জে আমরা শুধু উন্নয়নই করিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছি। কাউকে আমরা হয়রানি করিনি। মানুষ এখানে শান্তিতে বসবাস করছে। এমনি সময়ে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধ আগুন সন্ত্রাসে বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের দায়িত্ব হলো প্রত্যেকটি এলাকায় জনগণের মাঝে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা। তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে জনগণকে এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, উড়াল সড়ক, কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ হয়েছে। এখন কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। শাহরাস্তিতে আমরা নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছি, তা নিয়ে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এর মাঝে যে আগুন সন্ত্রাস শুরু হয়েছে আমরা শান্তি মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে চাই। বিএনপি-জামায়াতের এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, সামাজিকভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা হিংসা হানাহানি করবো না শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে সকল সমস্যা সমাধানের পক্ষে। তারা যদি তা শুনতে না চায় তাহলে সরকার অবশ্যই আইনানুগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংবিধানে বর্ণিত অবস্থার মধ্য দিয়ে আইন আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। অল্পকিছু লোক ছাড়া সাড়ে সাত কোটি বাঙালি সেদিন মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ইনশাআল্লাহ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবো। আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচিত হয়ে আমাদের উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবেন এবং আমরা এদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ক্ষুধামুক্ত দেশে রূপান্তরিত করবো। আমাদের মাঝে ছদ্মবেশধারি অনেক খন্দকার মোস্তাকের বংশধররা রয়েছে। আপনারা তাদেরকে চিনেন। আপনারা তাদের কথায় প্রতারিত হবেন না। অতীতেও তারা এমন করে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ থেকে ও বিএনপি-জামায়াত থেকে সুযোগ-সুবিধা নেয়। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আঃ লতিফের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডএম আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ ইলিয়াস মিন্টু। উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক টামটা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক দর্জি, যুবলীগের নেতা শাহ এনামুল হক কমল, আবু নাসের ওয়াজেদ, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান মনির, যুব মহিলা লীগের সভাপতি কাউন্সিলর রাবেয়া বসরী বকুল। শান্তি সমাবেশ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত থেকে উন্নয়নের পক্ষে স্লোগান দেয়।