বিএনপি-জামাত দেশের শান্তি নষ্ট করতে মাঠে নেমেছে
বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কচুয়ায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ মাঠে এ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজালাল প্রধানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিব আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকে এখনো সময় আছে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভাই-ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ থাকবে কোনো সময় এটা ভালো নয়। আমি বিভাজনের রাজনীতি করিনা। বিএনপি-জামাত দেশের শান্তি নষ্ট করতে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তারা হুংকার দিচ্ছে। আমরা সবাই একসাথে থাকলে তারা ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে উন্নয়ন সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই মহাসমাবেশে কচুয়ার রাজনীতি ইউটার্ন ঘটেছে। প্রগতিশীল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তিই শেখ হাসিনাকে রুখতে পারবে না। বিএনপি-জামাত জোট সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসী আর অরাজকতার জন্য তারা পাঁয়তারা করছে। ধারাবাহিক আন্দোলনের নামে তারা সন্ত্রাস সমাবেশ করতে যাচ্ছে আগামীকাল। আমি তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে মোকাবেলা করতে হবে। আমি বিশ^াস করি ঐক্যই শক্তি। দশে মিলে করি কাজ। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, ধারা বিভিন্ন হতে পারে। আমরা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নৌকার প্রার্থী। আমরা এর বাইরে কেউ না। ১৫ বছর আগের মাথাপিছু আয় বর্তমানে সাড়ে ৪ গুণ বেড়েছে। এ কৃতিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন বাংলাদেশ বিশে^ পরিচিত মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে। এখন আর বাংলাদেশ গরিব দেশ নয়। প্রতিবেশী ভারতের সাথে প্রতিযোগিতা করছে। শুধু মাথাপিছু আয় নয়, নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা অনেক কিছু করেছেন। শুধু পদ্মা সেতু নয়, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, কর্ণফুলী ট্যানেল নয়, অসংখ্য মেগা প্রকল্প হচ্ছে বাংলাদেশে। এক সময় আসবে জাপানের মতো ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ মাইল বেগে গাড়ি চলবে, সেইদিন বেশি দূর নয়। এ জন্য শেখ হাসিনার ভিশন বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ে তোলা। আপনি বক্তব্য দিচ্ছেন সাথে সাথে সারা বিশে^ ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা শেখ হাসিনার সাথে আছি। তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুর জব্বার বাহার ও বাতেন সরকার, দপ্তর সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়জুল্লাহ মানিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম টগর ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন প্রধান, জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য জোবায়ের হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, পৌর কাউন্সিলর আবুল খায়ের রুমি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সবুজ। এ সময় প্রতিটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দশ সহস্রধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।