• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী হাছান মিয়াজী গ্রেফতার

প্রকাশ:  ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জের বড়কুলে জোড়া খুনের ঘটনায় একই গ্রামের বাসিন্দা আদম ব্যবসায়ী হাছান মিয়াজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের আয়নাতলী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
জানা যায়, স্থানীয় বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও  ঢাকার বিশিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ী হাছান মিয়াজীকে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ি পাশে (কালা সিতার বাড়ি) দুলাল সাহার বসতঘরের জানালার গ্রীল কেটে দালানঘরে প্রবেশ করে উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মনকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার তুফান স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা ছিলেন। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্ধনের ছেলে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক মোঃ সোহাগ ও সন্দেহভাজন হিসেবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার দম্পত্তির বসতঘরের কাঁসার মালামাল আসামী মিজানের ঘর থেকে জব্দ করে পুলিশ।
তারা আরো জানায়, ওই দিন রাতে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোর চক্র মদ পান করে চুরির উদ্দেশ্যে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ কর। এ সময় ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান ও তার স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মণ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তাদেরকে চিনে ফেলেন। এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাপা দিয়ে তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র।

সর্বাধিক পঠিত