• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঢাকার পরে শাহরাস্তিতে নদীর পাড়ে হলো দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তীতুল্য। ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। বাঙালিকে একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড, স্বাধীন পতাকা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি। বিরামহীনভাবে দেশের জন্যে করে যাচ্ছেন। জীবনের এই বয়সে এসেও তিনি দেশের তথা নিজ এলাকার উন্নয়ন অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। শাহরাস্তিতে তাঁর ব্যাপক উন্নয়নে নতুন সংযোজন হলো ‘নান্দনিক শাহরাস্তি’। তিনি ডাকাতিয়ার পাড়ে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছেন। যা দেশে নদীর পাড়ে দ্বিতীয় ওয়াকওয়ে। গতকাল জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নির্মিত দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়াকওয়ে।
গতকাল ১৪ অক্টোবর শনিবার বিকেলে সুচিপাড়া ব্রিজ প্রান্তে বর্ণাঢ্য ও বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এই ওয়াকওয়ে। ওয়াকওয়ে উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি ফলক উন্মোচন করে এবং ফিতা কেটে এই ওয়াকওয়ে উন্মুক্ত করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর রফিকুল ইসলাম বলেন, এ মাটির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। এই মাটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই মাটির আকর্ষণে আমরা এই মাটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলবো। এই মাটিতে আমার বাবা, মা, ভাই-বোনদের জন্ম। এই মাটিকে ও দেশকে সাজিয়ে তোলা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। ২০১০ সাল থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম নদীর পাড় রক্ষা করার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাহসিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যে উন্নয়ন করেছেন তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক আছে যারা হিংসায় মরে। তারা বলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আসার কী দরকার আছে। তোমাদের প্রয়োজন হলে আসবে না। আগামী প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে এই ওয়াকওয়ে। সারা বাংলাদেশে এটি যেন দর্শনীয় স্থান হয় সেইভাবে গড়ে তোলা হবে। এ রকম একটি ওয়াকওয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর যে কোনো দেশেই যাই এই মাটি আমাকে টেনে নিয়ে আসে। জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে এই মাটিকে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, যারা পরশ্রীকাতর যাদের ভেতর হিংসা কাজ করে, তারাই এই মাটির বিরুদ্ধে কথা বলবে। আমার কাছে তথ্য ছিল ওই পরশ্রীকাতর লোকগুলো আজকের অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আমি তাদের নাম তুলে ধরবো। আপনাদের জানা দরকার এই লোকগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এদের পরিবার রাজাকারদের পরিবার। মূলত তারাই এই কাজগুলো করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আপনি কি উন্নয়ন দেখতে বিদেশে যাওয়ার দরকার আছে? সব উন্নয়ন এদেশেই আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ওয়াকওয়ে দু’জায়গায় হয়েছে। এক হলো ঢাকার চারপাশে আরেকটি হলো শাহরাস্তিতে। আমাদের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যা বলেন তাই করেন। তিনি বলেছেন কিন্তু করেন নাই এমন তথ্য থাকলে জানাইয়েন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা তার কর্মী আমরা তা করবোই। এই ওয়াকওয়ে দেখে অনেক এমপি এ কাজ করার জন্য এগিয়ে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে বিআইডব্লিউটিএর সংস্থাপন পরিচালক মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আঃ লতিফ, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব আলম লিপন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, বর্তমান সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিপুল উপস্থিতি ঘটে।

 

সর্বাধিক পঠিত