• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব দক্ষিণ ও কচুয়াকে ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৪:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের ৮ উপজেলার মধ্যে শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার পরে এবার ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে গতকাল ২২ হাজার ১শ’ ১টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের কচুয়া ও মতলব দক্ষিণ উপজেলাসহ দেশের আরো বেশ কটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।
মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজনও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলার এই দুই উপজেলা গৃহহীন মুক্ত হয়। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একযোগে সারাদেশে এসব গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালী, পাবনা ও খুলনা জেলার সাথে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধনী কার্যক্রম চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিসহ গৃহপ্রদান কার্যক্রম উদ্বোধনের সাথে সাথে চাঁদপুর জেলার ১৫৮ পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭০ পরিবারকে জমির দলিল হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এছাড়া গতকাল হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ পরিবার, কচুয়া উপজেলায় ৩৮ পরিবার ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ১৫ পরিবারের নিকট দলিল হস্তান্তর করা হয়। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (সেবা) ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী ও আবিদা সুলতানা, সদর এসিল্যান্ড মোঃ হেদায়েত উল্লাহ প্রমুখ। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এবং উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।