• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

৬ বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পরিবারের কাছে তুলে দিলো জেলা পুলিশ

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এক ভবঘুরে ব্যক্তি দীর্ঘদিন অবস্থান করছিলেন। চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক গত ৩০ জুলাই হতে অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষকে দেখাশোনা করে আসছিলেন। অবশেষে গত ৩ আগস্ট কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক তাকে আদালত চত্বর হতে উদ্ধার করে নিজ হাতে দাড়ি, চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্পণ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র, চাঁদপুরে নিজ খরচে ভর্তি করে দেন। তারপর কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিকের ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ভবঘুরে ব্যক্তির পরিবারের সন্ধানে প্রচারণা চালানো হয়। অবশেষে গত ৭ আগস্ট অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় মোঃ টিপু (২৮), পিতা মোঃ ছবির মিয়া, মাতা নাসিমা খাতুন, সাং পুরাতন চৌধুরী পাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, থানা কোতয়ালী, জেলা কুমিল্লা বলে জানা যায়। টিপুর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের চাঁদপুর আসার জন্যে যোগাযোগ করা হয়।
কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক কক্সবাজার জেলা পুলিশে কর্মরত থাকাকালীন ৯ জন, চট্টগ্রাম শহর হতে ৩ জন, নোয়াখালী সদর হতে ১ জন, লক্ষ্মীপুর সদর হতে ৪ জন এবং চাঁদপুর জেলা সদর হতে টিপুসহ ৫ জন সর্বমোট ২২ জন অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ ও মহিলা উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে তাদের অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া তিনি এ যাবত ২৯ বার স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আবুল হোসেন মানিক লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার রোকনপুর গ্রামের রুহুল আমিন ও নূরজাহান দম্পতির ছেলে। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। তিনি জানান, ‘ভবিষ্যতে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বেতনের টাকার কিছু অংশ দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন, দুঃস্থ, এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে চাকুরির পাশাপাশি দাঁড়াতে চাই’।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম জানান, এ মহৎ কাজটি পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ ধরনের মানবিক কাজ চাঁদপুর জেলা পুলিশ প্রতিনিয়ত করবে। এছাড়া টিপুর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন পুলিশ সুপার।