আওয়ামী লীগের তিন নেতার আগমনে কচুয়ার রাজনীতির মাঠ সরগরম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী তিন নেতার আগমনে রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ গোলাম হোসেন আজ শনিবার (৮ জুলাই) কচুয়ায় দিনব্যাপী রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। একইদিনে তিন নেতার পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে কচুয়ার রাজনৈতিক মাঠে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের থেকে জানা যায়, উপজেলার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ৩ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্র্থকরা এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং বিপাকে পড়েছে। একজনের অনুষ্ঠানে গেলে অপরজনের বিরাগভাজনের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের গণসংযোগ, দুপুর ১২টায় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান এবং বিকেল ৩টায় উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করবেন। পরদিন রোববার সকাল ১১টায় কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।
এদিকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ আজ শনিবার সকাল ১০টায় কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের ১৪৯নং জলা-তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় এবং বিকেল ৩টায় পূর্ব বিতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
একইদিন বিকেল ৩টায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিব আলহাজ¦ মোঃ গোলাম হোসেন কড়ইয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে মতবিনিময়, ৪টায় ডুমুরিয়া গ্রামে গণসংযোগ, সাড়ে ৪টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে নলুয়া বাজারে মতবিনিময় সভা, সাড়ে ৫টায় মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
এই তিন নেতার আগমনকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের বেশ সংগঠিত মনে হয়েছে। ৩ নেতার অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করতে স্ব-স্ব গ্রুপের নেতা কর্মীগণ ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, একইদিনে ৩ নেতার আগমনে দলীয় নেতা কর্মীদের বিভাজন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে।