প্রতারণা মামলায় কথিত মানবাধিকার কর্মী রহমত উল্যাহর দেড় বছরের সাজা
হাইমচর উপজেলার রিমু পোল্ট্রি ফিড নামীয় প্রতিষ্ঠানের মালিক মাওলানা মোঃ মহসিন খানের সাথে অন্য ব্যবসায়ীর লেনদের টাকার বিষয় সমাধানের নাম করে কথিত মানবাধিকার কর্মী গাজী রহমত উল্যাহ (৫২) প্রতারণা করায় ১ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোরশেদ আলম এই রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গাজী রহমত উল্যাহ হাজীগঞ্জ উপজেলার পালিশারা গ্রামের মৃত আবদুল বারীর ছেলে। প্রতারণার শিকার বাদী মাওলানা মোঃ মহসিন হাইমচর উপজেলার ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে এবং তিনি রিমু পোল্ট্রি ফিড নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাওলানা মোঃ মহসিন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পোল্ট্রি ফিড ক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করেন। যাদের সাথে তার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল সকলের লেনদেন পরিশোধ করলেও অনৈতিকভাবে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারের মেসার্স সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ খালেদ শেখ ১৪ লাখ ৮ হাজার ৮১০ টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনি একজন আইনজীবীর মাধ্যমে মহসিনকে নোটিশ প্রদান করেন। ঘটনা চলকালীন সময়ে সদরের বাখরপুর গ্রামের মাওলানা লুৎফুর রহমানের ছেলে আশ্রাফুল আলমের মাধ্যমে আসামী গাজী রহমত উল্যাহর সাথে পরিচয় হয়। রহমত উল্যাহ দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে টাকা পাওনার বিষয়ে সমাধান করে দিবে বলে বিভিন্ন সময়ে ২ লাখ ১০ হাজার ৩০০ টাকা নেন এবং এই টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে সে মানবাধিকার নামীয় প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে প্রতারণা করেন। এসব বিষয় কিছু সময় নিয়ে বাদী প্রতারণার বিষয়টি টের পান। এরপর আসামীর নিকট টাকা ফেরৎ চাইলে সে টালবাহানা করে। এক পর্যায়ে গাজী রহমত উল্যাহ টাকা দিবে বলে মহসীনকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দেন। এরপর নির্দিষ্ট সময় পার হলে টাকা না দেয়ায় এবং তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়ায় ব্যবসায়ী মহসিন গাজী রহমত উল্যাহকে আসামী করে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর হামইচর আমলী আদালতে দন্ডবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা করেন। (মামলা নং-সিআর ১১৩/২১)।
তদন্ত শেষে মামলাটি চলমান অবস্থায় সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ শাহজাহান পাঠান। বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ মোঃ শাহজাহান খান।