হাজীগঞ্জে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সংখ্যা কম
হাজীগঞ্জে মোট চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশুর সংখ্যা কম রয়েছে। উপজেলায় মোট কোরবানি পশুর চাহিদা প্রায় ১৭ হাজার। আর এখন তা রয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার। চাহিদার চেয়ে কোরবানি পশুর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার কম রয়েছে। কাগজেপত্রে প্রায় দেড় হাজার কোরবানি পশুর ঘাটতি থাকলে বাস্তবে এমন ঘাটতি নেই বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়। এদিকে গতকাল সোমবার (১৯ জুন) থেকে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় দাবি করে বলে বলছে, প্রকৃতপক্ষে পশুর ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ কোরবানির পশুর হাট শুরু হলে, পাশর্^বর্তী উপজেলাসহ খামারী, পালিত, নিয়মিত ও সিজনাল ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটে আসেন। এতে করে পশুর ঘাটতি থাকার কথা নয়, বরং উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বের বছরগুলোতে দেখা গেছে, জেলার বাইরে থেকে প্রচুর কোরবানির পশু আসে। যার ব্যতিক্রম এ বছরও হবে না। এদিকে কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসায় ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কোরবানির পশু আসতে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জের বেশ ক’জন সিজনাল ব্যবসায়ীও গরু এনেছেন বলে জানা গেছে। এ বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কোরবানির পশুর হাটের জন্যে ২৬টি নির্ধারিত স্থানের জন্যে ইজারা বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এ সব বাজারে গরু-ছাগল পাওয়া যাবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর হাজীগঞ্জে প্রায় ১৭ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে গরুকেই কোরবানির পশু হিসেবে কাউন্ট করা হয়েছে। চাহিদার মধ্যে উপজেলায় খামারী ও গৃহপালিত পশু রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০। আপাত দৃষ্টিতে চাহিদার চেয়ে জোগানের ঘাটতি দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে পশুর ঘাটতি হবে না। উপজেলা ও জেলার বাইরের পশু দিয়ে ঘাটতি পূরণ হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, কোরবানিযোগ্য পশুর কোনো ঘাটতি নেই। খামারি ও গৃহপালিত এবং উপজেলার বাইরে থেকে আসা পশু দিয়ে চাহিদা ও সাপ্লাই সমান হবে।