জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার
দক্ষ শ্রমিক অল্প সময়ের মধ্যেই সচ্ছল হতে পারেন : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
‘থাকবো ভালো, রাখবো ভালো দেশ/বৈধপথে প্রবাসী আয়, গড়বো বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে চাঁদপুরে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ জুন মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলা কর্মসংস্থান হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রবাসীরা দক্ষ ও সচেতন হলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদের যারা বিদেশ যাচ্ছেন তাদের অনেকের নেই কোনো দক্ষতা, নেই প্রশিক্ষণ। আমাদের দেশের কর্মীরা দক্ষতা অর্জন না করে বিদেশে যায় বলে তাদেরকে শ্রমিকের কাজ করতে হয়। আর অন্য দেশের শ্রমিকরা দক্ষতা নিয়ে বিদেশ যায়। যেমন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ক্লিনারের কাজ করেন। কিন্তু অন্য দেশ থেকে যারা বিদেশ যান, তারা জায়নামাজ, টুপি, তাসবিহসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রি করেন। দক্ষ শ্রমিক অল্প সময়ের মধ্যেই সচ্ছল হতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণের জন্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছেন। এ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবেদন করলেই সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা নিতে পারছেন। এ টাকা নিতে গ্যারান্টার লাগবে, জামানত লাগবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসিন আরাফাত, চাঁদপুর আইএমটির অধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মোঃ সাকাওয়াৎ আলী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল প্রধান তৌফিকুল আজিজ প্রমুখ। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পাসপোর্ট অফিসের প্রতিনিধি মোঃ ফারুক হোসেন, বিশিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্রবাস-ফেরত মোঃ কামরুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও বিদেশগামীরা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া দরকার। আর সকল কাজেরই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আমি যেন আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হই। এজন্যে প্রত্যেক অফিসের সামনেই অফিসের সেবা সম্পর্কে সাইনবোর্ড টানানো আছে। ওই অফিসে সেবা সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। সেখান থেকে কী সেবা দেয় সেটা নিশ্চিত হলে আমার কাজ সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসী ভাইরা প্রচণ্ড গরমে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করে টাকা উপার্জন করেন। অনেকে সেই কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে আবার দেশে ভেজাল জমি ক্রয় করেন। আবার প্রবাসে থেকেই টাকা পাঠিয়ে অন্যজনের মাধ্যমে বাড়ির নির্মাণসামগ্রী ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করেন। পরে আমরা অভিযোগ পাই আপনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আপনি টাকা দিয়ে কেন ভেজাল জমি কিনবেন? কেন নিজ বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হবেন? সুতরাং আপনাকে সচেতন হতে হবে।