• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

প্রকাশ:  ০৪ জুন ২০২৩, ০৯:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কচুয়ায় আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নিরবচ্ছিন্নভাবে ষাট বছরেরও অধিক সময় ধরে আলো ছড়াচ্ছে। ষাটের দশকে যেখানে শিক্ষিত মানুষ খুঁজে পাওয়া ছিলো দুষ্কর, সেখানে শিক্ষার আলোয় আলোকিত এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবার।
ষাটের দশকের কথা। তখনও মানুষের মাঝে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব উপলব্ধির আওতায় আসেনি! ফলে মানুষ তাদের সন্তানদের শিক্ষা অর্জনের চেয়ে ঘরে-বাইরে কাজ করাতেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতো। অভাব-অনটন ছিলো যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের সন্তানরা কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে পড়াশোনা করবে--এ কথা তখনকার মানুষ ভাবতেই পারতো না।
সে সময়কালে ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুর মহকুমার কচুয়া অঞ্চলের অবস্থা ছিলো বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন। দু-একটি মাদ্রাসা ব্যতীত অত্র অঞ্চলে অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এই অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আবির্ভাব ঘটে আশেক আলী খানের। যিনি চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসলিম গ্র্যাজুয়েট। তিনি অত্র অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তাঁর নিজ বাড়ির কাচারি ঘরে হাতেগোণা ক'জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে শিক্ষা-সচেতনতা না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করতে কাজ ছেড়ে পাঠাতে চাইতেন না। তখন আশেক আলী খান এবং তাঁর সহধর্মিণী সুলতানা বেগম বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁরা অভিভাবকদের নিকট শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে রাজি করাতেন।
আশেক আলী খান সাহেবের কনিষ্ঠ কন্যা নীলুফার বেগমের ভাষ্যমতে, তাঁর মা সুলতানা বেগম ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী এবং নিয়মিত করতে আটা, চিনি, ময়দা এবং সুজি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতেন। তিনি আরো বলেন, তৎকালীন সময়ে মেয়েরা পড়াশোনা করবে এমনটা কেউ ভাবতেও পারতো না। তাই মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে পারাটা ছিলো সবচেয়ে বেশি কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
যখন ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলো তখন আশেক আলী খান সাহেব তাঁর নিজের জমিতে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড বিল্ডিংয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি উক্ত প্রতিষ্ঠানটি আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় নামে জুনিয়র স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। আশেক আলী খান উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৭৪ সালে এই মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর পর বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তাঁর তত্ত্বাবধান এবং হস্তক্ষেপে সৌদি আরবের জেদ্দা সংস্থা হতে বাংলাদেশের জন্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৪টি ভবনের বরাদ্দ আসে। সেই চারটি ভবনের একটি ভবন চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন গুলবাহার আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন হিসেবে স্থাপিত হয় এবং সেই সাথে একটি মসজিদ, ছাত্রাবাস ও গুরুগৃহ স্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মাধ্যমে এডিবির আর্থিক অনুদানে উক্ত ভবনটির তৃতীয় এবং চতুর্থ তলার সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটি আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে আকৃষ্ট হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানার্জনের জন্যে আসতে শুরু করে। দিন দিন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ক্যাম্পাসটি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসটিতে স্থাপন করা হয় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি হাসপাতাল। যেখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ জনগণও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চারতলাবিশিষ্ট তিনটি একাডেমিক ভবন, তিন তলাবিশিষ্ট একটি দুর্যোগ ও ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক আশ্রয় কেন্দ্র, চাঁদপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বিশাল খেলার মাঠ, নীল জলরাশিতে টইটম্বুর দিঘি এবং সবুজ গাছগাছালি বেষ্টিত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার কার্যক্রমকে করেছে মানসম্মত ও আনন্দঘন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে জেএসএসি পরীক্ষায় ১শ' ৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ ৮ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয়। ২০১৩ সালে ১শ' ৭৮ জন অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ এ প্লাস প্রাপ্ত হয় ২৪ জন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ২শ' ১৫ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৮ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস প্রাপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে উপজেলা পর্যায়ে অনন্য উচ্চতায় আসীন করে।
২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১শ' ৫৫ জন অংশগ্রহণ করে ২২ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয়। ২০২০ সালে ১শ' ৭৬ জন অংশগ্রহণ করে ৪২ জন এ প্লাসসহ ২৬ জন শিক্ষার্থী কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মেধাবৃত্তি পেয়ে কচুয়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে।
কলেজ শাখা ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা  অংশগ্রহণ করে ১৯৯৮ সালে। ৫২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৬ জনই কৃতকার্য হয় এবং ৫ জন শিক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ২শ' ৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ এ প্লাস প্রাপ্ত হয় ১৫ জন এবং ২০২০ সালে ২শ' ৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ ১৭ জন এ প্লাস প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখায় ৮শ' ৫২ জন এবং স্কুল শাখায় ৯শ' ২ জন অর্থাৎ সর্বমোট ১ হাজার ৭শ' ৫৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আলহাজ মেজবাহ উদ্দিন খান স্মারক বৃত্তি, হাছিনা আহমেদ বৃত্তি, নীলুফার বেগম বৃত্তি, ঝরিনা খাতুন বৃত্তি, কুহিনুর বেগম বৃত্তি, মমতাজ ওয়াদুদ বৃত্তি, রাজিয়া খাতুন বৃত্তি, আশেক আলী খান স্মৃতি ট্রাস্ট (স্কুল শাখা) এবং আশেক আলী খান স্মৃতি ট্রাস্ট (কলেজ শাখা) থেকে বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি, এতিম গরিব এবং মেধাবী, তাদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে এবং প্রতি বছর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিষ্ঠানের নিজ উদ্যোগে পাঠ্যবই ও সহায়ক বই বিতরণ করা হয়।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক এই তিনের সমন্বয়ে যুগোপযোগী পাঠদানে প্যারেন্ট টিচার অ্যাসোসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে অভিভাবকদেরকে শিক্ষার্থীদের ফলাফলের উন্নতি-অবনতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা ও আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। পুরো প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও তদারকির জন্যে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে রয়েছে ২টি সুবিশাল অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সততা স্টোর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব, সাহিত্য ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ক্লাব।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি ১৯৯৮ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে প্রভাষক হিসেবে এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পরপর তিনবার কচুয়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন এবং সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে চাঁদপুর জেলা পাঠক ফোরাম আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অর্জন করেছেন শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার। ২০১১ সালে এইচএসটিটিআই কর্তৃক মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, শিক্ষা ভবন ঢাকায় এডুকেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক ও শিক্ষিকা রয়েছেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে যুগোপযোগী শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে আগামীর যোগ্য প্রজন্ম। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক সুলতানা খানম কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (স্কুল শাখা) উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় এবং ২০১৭ ও ২০১৯ সালে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (কলেজ শাখা) উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯-এ আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (কলেজ শাখা) জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। জাতীয় দিবস এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা উদ্যাপন উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে বহু পুরস্কার অর্জন করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে থাকে। বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন পাঠদান বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয় এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকল্পে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
 এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ শুধু দেশে নয়, বিদেশেও দক্ষতা ও সুনামের সাথে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে। এই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক অনেক দূর। আগামীর কর্ণধারদের কল্লোলে মুখরিত হোক আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণ। সর্বজনের ধারণা, আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষার জন্যে আশেক আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এখন অনুকরণীয়।

 

সর্বাধিক পঠিত