• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ

প্রকাশ:  ০১ জুন ২০২৩, ১২:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে, পরিষদের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে এবং নির্দেশিকা অমান্য করে নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী স্নেহাল রায়। খোদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান এ অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
গত মাসে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের এমন খামখেয়ালিপনা এবং নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিষয় উত্থাপিত হলে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউএনওসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কাজের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ইঞ্জিনিয়ার পরিষদের সিদ্ধান্ত মানছেন না। তিনি উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের টাকা ব্যবহারে যে নির্দেশিকা রয়েছে তা-ও মানছেন না। পরিষদের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঠিকাদার মনির হোসেন (তরপুরচণ্ডী) ও ঠিকাদার মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক (প্রফেসর পাড়া)-এর লাইসেন্স দুই বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হলো। তাই তারা দুই বছর উপজেলা পরিষদের কোনো প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাই এই দুই ঠিকাদার যেনো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন টেন্ডারকৃত দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে এই চিঠি দেন। কিন্তু দেখা গেলো যে, ইঞ্জিনিয়ার এই চিঠির নির্দেশনা মানছেন না। তিনি সম্প্রতি কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদার মনির হোসেনকে টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে একটি কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এছাড়া আরো বেশ কিছু কাজ তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউএনওকে না জানিয়ে এবং পাশ কাটিয়ে করে থাকেন। যা তিনি উপজেলা পরিষদের নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারেন না।
সভায় ইঞ্জিনিয়ার স্নেহাল রায়ের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তোলা হয়, তিনি উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের টাকা ব্যবহারের যে নির্দেশিকা রয়েছে তা মানছেন না। সে নির্দেশিকা অমান্য করে, মূল্যায়ন কমিটির মতামত ব্যতিরেকে সর্বোপরি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের (চেয়ারম্যান) কোনো অনুমোদন (লিখিত বা মৌখিক) ছাড়াই কার্যাদেশ প্রদান করেন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল বলে উপজেলা চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন। সভায় উত্থাপিত এসব বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী স্নেহাল রায় কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ইঞ্জিনিয়ারের এসব অনিয়ম এবং সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

সর্বাধিক পঠিত