• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন

সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায় তৃণমূল

প্রকাশ:  ২২ মে ২০২৩, ১০:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল তথা সম্মেলনের তারিখ কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করে দেয়ায় দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীর মাঝে দেখা গেছে প্রাণচাঞ্চল্য। বিপুল উৎসাহ তাদের মাঝে সম্মেলন নিয়ে। যে সম্মেলন গত বছর হওয়ার কথা, দিন-তারিখও ঠিক করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সম্মেলন না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। এখন পুনরায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় নেতা-কর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। তবে কিছুটা শঙ্কিতও সম্মেলন না হওয়ার জন্যে নানা পাঁয়তারা দেখে। তারা বলছেন, কোনো অজুহাতেই যেনো এবার আর সম্মেলন স্থগিত বা পেছানো না হয়। তাছাড়া সম্মেলন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ১৭ জুন সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলো। এখন যদি আবার সম্মেলন পেছানো হয় বা স্থগিত করা হয়, তখন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তৃণমূলে প্রশ্ন দেখা দেবে।
আগামী ১৭ জুন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। গত ১০ মে তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত চিঠির আলোকে ১৪ মে রোববার চাঁদপুরের স্থানীয় সকল পত্রিকায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশিত হয়। সেসব নিউজে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে কোনোভাবেই যেনো এবার আর সম্মেলন পেছানো না হয় সে দাবি জানায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সম্মেলনের তারিখ ঘোষণাকে সাধুবাদ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিতে থাকে নেতা-কর্মীরা।
এদিকে সম্মেলন বিষয়ে গত কদিন আওয়ামী লীগের তৃণমূল তথা বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন এমন নেতৃবৃন্দ এবং সাবেক ছাত্র নেতাদের সাথে কথা হয়। তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ঘোষিত তারিখে সম্মেলন হতেই হবে। তা না হলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম তথা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেবের নির্দেশনার কোনো কার্যকারিতা থাকে না এবং এমন সর্বোচ্চ ফোরামের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তৃণমূলে প্রশ্ন উঠবে। মাঠ পর্যায়ে এর খারাপ প্রভাব পড়বে।
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ক’জন নেতা চাচ্ছেন সম্মেলন না করার জন্যে। এইদিকে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাঁরা বলেন, সম্মেলন করতে তাদের ভয় কিসের? কাউন্সিলররা যদি বর্তমান নেতৃত্বকে পুনরায় চায় তারা আবার আসবেন। তাতে তো সমস্যা নাই। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আর কতদিন? ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সম্মেলন হয়েছে। তিন বছর মেয়াদের কমিটি। সে জায়গায় আট বছর চলছে। সে জন্যে সম্মেলন হতেই হবে। আর কাউন্সিলর তালিকা এখনো হয় নি বলে সম্মেলন করার ক্ষেত্রে অন্তরায় বলা হচ্ছে--সেটা একটা অজুহাত মাত্র। কাউন্সিলর তালিকা তো জেলা কমিটিই করবে। সেটা ওনারা করেন নি কেনো? এটা কি ওনাদের ব্যর্থতা নয়? আবার বলা হয় দুটি উপজেলার সম্মেলন এখনো হয়নি। এটাও তো জেলা কমিটির ব্যর্থতা। তারা কেনো সম্মেলন করিয়ে নেন নি? তারপরও ১৭ জুনের আগে সময় আছে পর্যাপ্ত। এ সময়ের মধ্যে দুই উপজেলার সম্মেলন করিয়ে নেয়া যাবে। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা। তারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। সে জন্যে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমান দ্বিধা বিভক্তি এবং কয়েক ভাগে বিভক্ত জেলা কমিটি দিয়ে আগামী চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানাবো, ঘোষিত তারিখ তথা ১৭ জুনেই যেনো চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়ে যায়।

 

সর্বাধিক পঠিত