• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া

রাজনীতি থেকে কি ন্যূনতম সৌজন্যবোধও বিদায় নিচ্ছে?

মৃত মানুষ নিয়েও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা!

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০২৩, ০৮:৪১ | আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ০৮:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল যে সকল সভ্যতা, ভব্যতা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগত প্রকাশ করেছে। নেতা-কর্মীরা তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা বলছেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা, দ্বন্দ্ব-কোন্দল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই দ্বন্দ্ব মৃত ব্যক্তি পর্যন্ত গড়াবে তা মোটেই কাম্য নয়। যা সম্প্রতি চাঁদপুরে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ ক’জন নেতার আচরণে প্রকাশ পেয়েছে। এ ধরনের আচরণ সমাজে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রবিন পাটোয়ারী ‘হায়রে রাজনীতি, হায়রে গ্রুপিং, শেষ পর্যন্ত মৃত মানুষ নিয়েও?’ শিরোনামে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে তার উদ্বেগ জানিয়ে একটি লেখা পোস্ট করে।

৬ মে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির মাতা ইন্তেকাল করেছেন, পরদিন ৭ মে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সম্প্রতি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের পিতা মারা গেছেন। গত বছর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং গণপরিষদ সদস্য মরহুম অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মারা যান। এই তিনজনের জানাজায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাঁদের অনুসারী ক’জন নেতা অংশ নেন নি। তাঁদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। বিষয়টিতে যেমনি দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে, তেমনি সাধারণ মানুষও রাজনীতি থেকে এই সামান্য সৌজন্যবোধ বিদায় নেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মরহুম এমএ ওয়াদুদ হচ্ছেন ছাত্রলীগের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। তাঁর কন্যা ডাঃ দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। এমএ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের জানাজায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হননি। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, গণপরিষদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলামের স্ত্রীর জানাজায়ও তাঁরা উপস্থিত হননি। সম্প্রতি অর্থাৎ গত মাসে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের পিতার জানাজায়ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হননি। তাঁদের এই অনুপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মন্তব্য হলো, মৃত মানুষ নিয়ে তো কোনো প্রতিহিংসা বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে না। প্রতিহিংসা যদি জানাজা পর্যন্ত গড়ায়, তাহলে প্রজন্ম কী শিখলো আমাদের নেতাদের কাছ থেকে!? দৃশ্যমান এমন প্রতিহিংসাতো আওয়ামী-বিএনপি-জামাতের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ।

সর্বাধিক পঠিত