চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুটে আরেকটি নতুন লঞ্চ ময়ূর-১০
চাঁদপুর-ঢাকা নদীপথে একের পর এক নামানো হচ্ছে নতুন লঞ্চ। টাইট সিডিউলের মধ্যে এমনিতেই যাত্রী সংকটের আর্থিক লোকসানের মুখে লঞ্চ মালিকদের অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নামানো হয়েছে শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাট-চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে আরেকটি বিলাসবহুল লঞ্চ, নাম তার ময়ূর-১০।
রোজার ঈদের দুইদিন আগ থেকে বৃহস্পাতিবার ঢাকা হতে এমভি ময়ূর-১০ নামের লঞ্চটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে এসে পৌছায় এটি। পরে চাঁদপুরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একই দিন রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর এসে রাত সাড়ে ১১টায় প্রথমবারের মতো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখন থেকে নিয়মিত চলাচল করবে এমভি ময়ূর-১০ লঞ্চ। এটি শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাটে পৌঁছাবে বলেও জানান তারা।
এমভি ময়ূর-১০ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, চারতলা বিশিষ্ট লঞ্চটির ভেতরে রয়েছে ১৮টি ডাবল কেবিন, ৪২টি সিঙ্গেল কেবিন, ৪টি ভিআইপি ও ৪টি ফ্যামিলি কেবিন এবং ৪টি সেমি ভিআইপি কেবিন। দুর্ঘটনা রোধে লঞ্চটিতে বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০ হর্স পাওয়ারের দুটি চায়না ইঞ্জিন। এতে হাইড্রোলিক গিয়ার, ফায়ার বাকেট, উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস রয়েছে। ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করে বসানো হয়েছে ইকো সাউন্ডার। লঞ্চটি দ্রুতগতিতে চলাচল করতে সক্ষম।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, লঞ্চটি প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাবে রাত সাড়ে ১১টায়। আবার ঢাকা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
লঞ্চটির সুপারভাইজার আবু সাঈদ জানান, বৃহস্পতিবার লঞ্চটি উদ্বোধন করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, আমরা যাত্রীসেবায় নিয়োজিত হতে পেরেছি। নিরাপত্তার জন্য পুরো লঞ্চে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুসারে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, এমভি ময়ূর-১০ লঞ্চটি শরীয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাট-চাঁদপুর-ঢাকা রুটে যুক্ত হয়েছে। এটি একটি বিলাসবহুল লঞ্চ। নিয়ম-শৃঙ্খলা ও যাত্রীদের সেবার মান বজায় রেখে এটি চলাচল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।