বৃষ্টির জন্য ইস্তিকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া
তীব্র তাপদাহ, অনবৃষ্টি ও খড়া দেখা দিয়েছে দেশের সর্বত্র। টানা খরায় পুড়ছে পুরো দেশসহ চাঁদপুর জেলা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে। প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে পানির তীক্র সংকট। রোদ আর গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া আয়োজন করেন মুসুল্লী ও নবকলস এলাকাবাসী।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদর্শ স্কুল মাঠে সকাল ১০টার দিকে এই নামাজ আদায় করেন গ্রামবাসী। বিশেষ এ নামাজে নবকলস, দশপাড়া, কলাদী ও ভাঙ্গারপাড় গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক মুসুল্লী অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া তীব্র গরমে গর্ভবতী মা, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বৃষ্টির জন্য ইস্তিকার নামাজ ও বিশেষ দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন মতলব রোটারী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও মতলব প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান রেদওয়ান আহমেদ জাকির, মতলব বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুয়েল খান, আশ্বিনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক ও মতলব প্রেসক্লাবের সদস্য আশরাফুল জাহান শাওলিন, আদর্শ স্কুল মতলবের সহকারী শিক্ষক দেওয়ান মোঃ কবির হোসেন, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, শামসুন নাহার হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শামীম ভ‚ইয়া, কেএফটি কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক বদিউল আলম বাবু, সহকারী শিক্ষক পাভেল, সমাজ সেবক মোঃ বিল্লাল হোসেন জমাদার, মাসুদ হোসেন, রাফিউল আলম শরীফ ও আরমান প্রমুখ।
মুসুল্লি হোসেন আহমেদ বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টির কারণে ফসল রোপন করতে পারছি না। এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করলাম।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ইস্তিকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন নবকলস দারুল ইসলাম আদর্শ স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ।
নামাজ শেষে তিনি বলেন, আমাদের কোনও ব্যক্তিগত কারণে নয়, এখানে বৃষ্টির জন্যই নামাজ পড়া হয়েছে। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে এই নামাজ পড়েছি। পাশাপাশি নামাজ শেষে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছি।