• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করতে সামাজিক সচেতনতাই অধিক কার্যকর : পুলিশ সুপার

প্রকাশ:  ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুরে কিশোর গ্যাং নিয়ে আশংকা প্রকাশ করলেন স্বয়ং পুলিশ সুপার। কিশোর গ্যাংকে তিনি জাতীয় সমস্যা বলে উল্লেখ করেছেন। একই সাথে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে তিনি সামাজিক সচেতনতা এবং পারিবারিক নিয়ন্ত্রণের প্রতি জোর দিয়েছেন। আর কিশোর গ্যাং অপ্রতিরোধ্য হওয়ার পেছনে তিনি রাজনৈতিক ছত্রছায়া এবং কিছু 'বড় ভাইয়ের' আশ্রয় প্রশ্রয়কে দায়ী করেছেন। পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গে এ কথাগুলো বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, কিশোর গ্যাং এটা এখন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদপুরেও এই সমস্যাটি আছে। এদের বয়স বিবেচনা করে এদের ওপর অনেক ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ করা যায় না। এদেরকে প্রথমে আমরা আটক করে অভিভাবকদের খবর দেই। মুচলেকা রেখে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেই।  তখন হুঁশিয়ার করে দেই যদি পরবর্তীতে এসব অপরাধে আটক করা হয় তাহলে আর ছাড় দেয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সুপার বলেন, এই কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, তাদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি জড়িত থাকে। সমাজের কিছু বড় ভাই আছে, যারা এই কিশোর অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। অভিভাবকদের যে দায়িত্ব আছে তা পালন করতে হবে। সন্তানের খোঁজ খবর রাখতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের এ বিষয়ে ভাবতে হবে। ছোট ছোট ছেলেরা যে খারাপ হয়ে যাচ্ছে, এর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ তা তাদের বুঝতে হবে। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা খারাপ হয়ে গেলে এর প্রভাবে যে পুরো সমাজ ধ্বংস হয়ে যায় সে বিষয়টি সকলকে ভাবতে হবে। সে জন্য এই অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করতে হলে সামাজিক সচেতনতা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। সামাজিক প্রতিরোধই অধিক কার্যকর।

 

 

সর্বাধিক পঠিত