শবে ক্বদর পেতে রমজানের শেষ দশদিন ই’তিকাফ
মাহে রমজানের পুরো মাসই ইবাদতের মাস। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে বা সময় মতো আদায়, তারাবীহর নামাজ, সেহরী, রোজা, ইফতার, কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, দান-সদকা, জাকাত-ফিতরা ইত্যাদি আরো কতই না ইবাদতের সুযোগ রয়েছে এ মাসে।
রমজানে মুমিন মুসলমানদের জন্যে আরেকটি বিশেষ ইবাদত হচ্ছে দুনিয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যাওয়া। যাকে বলা হয় ই’তিকাফ। রমজানের শেষ দশদিন ই’তিকাফের জন্যে নির্ধারিত। ই’তিকাফ মুসলমান নর-নারীর জন্যে সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ আলাল কেফায়া। অর্থাৎ মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর কেউ আদায় না করলে সকলে গুনাহগার হবে। তবে সৌভাগ্য অর্জনের জন্যে সকলেই ই’তিকাফ করা উচিত। ই’তিকাফ পুরুষের জন্যে মসজিদে আর মহিলাদের ঘরে নির্জন স্থানে। এ ছাড়া ই’তিকাফের জন্যে আরো কিছু শর্তও আছে।
হুজুর (দঃ) রমজানের শেষ দশদিন যে ই’তিকাফের জন্যে নির্ধারণ করেছেন, তারও একটি বিশেষ হিকমত রয়েছে। সেটি হচ্ছে-উম্মতে মোহাম্মদীর যেনো হাজার মাসের চেয়ে উত্তম লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর লাভের সৌভাগ্য অর্জিত হয়। কেননা হুজুর (দঃ) লাইলাতুল ক্বদরকে নির্ধারণ করে দেননি। এটি উহ্য রেখে নবীজী বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশ রাত্রির যে কোনো বেজোড় রাত্রিতে শবে ক্বদর তালাশ করো। পেয়ারা নবী তাঁর প্রিয় উম্মতদেরকে আল্লাহ পাওয়ার জন্যে কী সুন্দর হেকমত অবলম্বন করেছেন। একদিকে রমজানের শেষ দশরাত্রির যে কোনো বেজোড় রাত্রিতে শবে ক্বদরকে তালাশ করতে বলেছেন, আবার পাশাপাশি ই’তিকাফকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন রমজানের শেষ দশদিন। অর্থাৎ ই’তিকাফে গেলে লাইলাতুল ক্বদর বাদ পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। আর মুমিন বান্দার ভাগ্যে যদি একবার লাইলাতুল ক্বদর জুটে যায়, তার তো নাজাতের উছিলা হয়ে গেলো। আল্লাহ আমাদের লাইলাতুল ক্বদর নসিব করুন।