• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে মসজিদ থেকে ডেকে এনে হামলা, ঘরে আগুন!

প্রকাশ:  ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে মসজিদ থেকে ডেকে এনে বৃদ্ধকে মারধর, লাকড়ি ও ছাগলের ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের মধ্য ধানুয়া গ্রামের মিয়া বাড়ি মসজিদের সম্মুখে। পরে স্থানীয় মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পিছু হটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল ধানুয়া আল জামিয়াতুল আরাবীয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার ১৩জন ছাত্র বাদ যোহর মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদে কোরআন খতম করার জন্য যায়। কিছুক্ষণ পরে মসজিদের সভাপতি দুলাল পাটওয়ারী মসজিদে এসে কোরআন খতমরত ছাত্রদের বকা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় মসজিদের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মুন্সির সাথে দুলাল পাটওয়ারীর কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
৮ এপ্রিল শনিবার হাবিবুর রহমান মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করতে যান। নামাজরত অবস্থায় দুলাল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী (৩৮) ও হাসান পাটোয়ারী (৩৪) হাবিবুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে এনে মসজিদের গেটে বেদম মারধর করে। এ সময় স্থানীয় মুসল্লিরা বাধা দেয়। একই দিনে ইফতারের পর দুলাল পাটওয়ারীর ছেলেরা হাবিবুর রহমানের লাকড়ি ও ছাগল রাখার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়ের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
হাবিবুর রহমান মুন্সী জানান, ৮ এপ্রিল শুক্রবার স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা আমাদের মসজিদে কোরআন খতম করতে আসে এবং কোরআন খতমরত অবস্থায় মসজিদের সভাপতি দুলাল এসে মাদ্রাসার ছাত্রদের বের করে দেয়। এ সময় আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং মাগরিবের নামাজের সময় ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ এপ্রিল শনিবার আমি মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায়রত অবস্থায় দুলালের ছেলেরা মসজিদ থেকে ডেকে মসজিদের গেটে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। তিনি আরো বলেন, আমাকে মেরেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। একই দিনে ইফতারের সময় আমার লাকড়ির ও ছাগলের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং তারা আমার বসত ঘর ভাঙ্গতে আসে। এ সময় আমার মেয়ে খাদিজা আক্তার বাধা দিলে তারা আমার মেয়েকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে এবং মেয়ের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও নাকফুল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দুলাল পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাবিবের সাথে আমাদের সম্পত্তি নিয়ে পূর্বের শত্রুতা রয়েছে। ঘটনার প্রথম দিন আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর হাবিব আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই আমি আমার ছেলেদের জানালে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি এসে হাবিবকে মিয়া বাড়ি জামে মসজিদে জিজ্ঞেস করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরো বলেন, তাদের ঘরে লাকড়ির ঘরে আমরা আগুন দেই নাই, তারাই আগুন দিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শাহ আলম শেখ জানান, আমি প্রথম দিনের ঘটনা শুনেছি। দ্বিতীয় দিনের মারামারির ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমার কাছে আসলে আমি সমাধানে বিষয়ে উদ্যোগ নিবো।

 

সর্বাধিক পঠিত