• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাল নিয়ে চালবাজি ঠেকাতে ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়রের চিঠি

প্রকাশ:  ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ওএমএসের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে সঠিক তদারকি করতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী। গত ১১ এপ্রিল তারিখে ইস্যু করা এই চিঠি বুধবার (১২ এপ্রিল) ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চত করেছে পৌর অফিস সূত্র।
জানা গেছে, সরকার দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে সমাজের নিম্ন শ্রেণির মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়ে সেই জন্যে চালসহ খাদ্য সামগ্রী ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি চলছে। ইতিপূর্বে চালের সাথে আটাও বিক্রি হতো। কিন্তু নিজেদের সুবিধামতো স্থানে ডিলারদের ওএমএস সামগ্রী বিক্রি ও অনিয়ম করার বিষয়টি পৌর মেয়রের নজরে আসে। তাই তিনি গত ১১ এপ্রিল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চিঠি প্রেরণ করেন। চিঠিতে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যে ও.এম.এস. কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় নিয়োগকৃত ডিলারগণ নির্ধারিত স্থানে ও.এম.এস. খাদ্য সামগ্রী বিক্রি না করে তাদের সুবিধা মতো স্থানে বিক্রি করার কারণে পৌরসভার সাধারণ মানুষ ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রি না করে কম পরিমাণে বিক্রি করে বলে এলাকার জনসাধারণ মৌখিকভাবে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় নিয়োগকৃত ও.এম.এস. ডিলারদের খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের সঠিক তদারকি ও সীমাহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, ওএমএসের ডিলাররা সঠিকভাবে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে না। বরং বস্তা বস্তা চাল বেশি মূল্যে পাচার করে অন্যত্র বিক্রি করছে। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার উপেক্ষা। সরকার ভর্তুকি দিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করলেও ডিলাররা নিজেদের আখের ঘোচাবে তা হবে না। আমি ইতিপূর্বে উপজেলা খাদ্য নিয়স্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলাম। পুনরায় দিলাম। ওএমএসের বিষয়ে আমার কাউন্সিলররা পর্যন্ত জানেন না। কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতার জন্য তদারকিতে জনপ্রতিনিদের রাখতে পারেন। তা-ও রাখেন না।  আমি এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলেও কথা বলবো।

 

সর্বাধিক পঠিত