একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রীর যত নির্দেশনা
গ্রামের স্কুলে টয়লেট ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে দেশের আঞ্চলিক সড়কে টোল আদায় করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ কমিশনের সচিবরা।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আদায় করতে বলেছেন। এটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, মুখ্য সচিব বিষয়টি একনেক সভায় তোলেন, যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সড়ক করে দিচ্ছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুটা হলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ন্যূনতম হারে হলেও টোল আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
পিএম অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নারীদের কাজের হিসেব নেই। এটা যোগ করলে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। নারীরা অনেক অবদান রাখে। কেউ কেউ মনে করে নারীর কাজের আবার মূল্য কী? তবে নারীদের কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামের স্কুলে টয়লেট ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। স্যানিটেশনবিহীন কোনো স্কুল চলবে না। এনজিও অনেক প্রকল্পে কাজ করে। তবে সাইন বোর্ডে দেখা যায় এনজিওর নাম থাকে অথচ আমাদের থাকে না। তবে এনজিওর পাশাপাশি আমাদের নামও রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্পে ফসলি জমি যতটা পারা যায় এড়িয়ে যেতে হবে।
হাওরে সড়ক নির্মাণ নয়, বরং উড়াল সড়ক নির্মাণ করতে হবে বলে মত দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সবজি নিতে চায়, এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঈদের আগে যেন স্বল্প মূল্যে দ্বিতীয় কিস্তিতে এক কোটি পরিবার খাবার পায়, সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
একনেক সভায় ৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ৬০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।