বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহতদের লাশ নিতে বাধা দেয়ায় হাসপাতালে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতের লাশ নিতে বাধা দেয়ায় আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে কিশোর গ্যাং। তাদের দলগত হামলায় হাসপাতালের ৫ স্টাফকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৯ মার্চ বুধবার বেলা ১২টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের পূর্ব রামদাসদী এলাকায় তানিম ও মিনহাজ নামের দুই কিশোর বৃষ্টির সময় বিলে ফুটবল খেলার সময় ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা পুরাণবাজার দোকানঘর পূর্ব রামদাসদী এলাকার বাসিন্দা এবং একজন নূরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল হেফাজতে রেখে নিয়মানুযায়ী পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ আসার আগেই নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে চাইলে হাসপাতালের স্টাফরা বারণ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের নির্দেশ ছাড়া মরদেহ দিতে না দিলে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে একদল কিশোর জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে স্টাফদের ওপর হামলা করে। তাদের অতর্কিত হামলায় দায়িত্বে থাকা ৫ স্টাফ আহত হন। আহতদের মধ্যে সিহাব নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়াদের ক্ষেত্রে কিছু আইনি বিষয় থাকে। যে কারণে লাশ হাসপাতালের জিম্মায় রাখা হয়েছিলো। কিন্তু নিহতের স্বজনসহ এলাকার কিছু কিশোর হাসপাতাল থেকে লাশ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় কিশোররা হাসপাতালের পাঁচ স্টাফকে পিটিয়ে আহত করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালের ইমারজেন্সি কক্ষের ৫ স্টাফকে আহত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই কিশোর গ্যাংয়ে থাকা আরিফুল্লাহ নামের একজনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা নেবো।