• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

বাজারে হরেক রকম ইফতার : ক্রেতার সংখ্যা কম

প্রকাশ:  ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল ছিলো পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। এদিন শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁয়ই ছিলো ইফতার সামগ্রীর ব্যাপক আয়োজন। তবে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারের চেয়ে শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁয় চোখে পড়েছে হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। রেশমী জিলাপী, বোম্বে জিলাপী, জালী কাবাব, চিকেন কাবাব, চিকেন রোল, টিকিয়া, ডিম চপ, চিকেন চপ, চান চিলিক, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী, চনা বুট, বুরিন্দা, বোরহানীসহ হরেক রকম আইটেমের ইফতার সামগ্রীর সমাহার ছিলো হোটেল-রেস্তোরাঁয়। দামও ছিলো অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে। দাম ছিলো ৫ টাকা থেকে শুরু করে জিনিসভেদে দুই হতে আড়াইশ’ টাকা। ইফতার সামগ্রীর মাঝে অত্যন্ত মুখরোচক হলো জিলাপী। রেশমী ও বোম্বে এ দুই আইটেমের জিলাপীই চোখে পড়েছে অনেক দোকানে। যার দাম প্রকার ভেদে দুশ টাকা থেকে শুরু করে আড়াইশ’, তিনশ’ টাকা।
চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেট সংলগ্ন আল-আরাফ হেটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দেখা গেলো মালিক আনোয়ার হোসেন নিজেই কারিগরদের সাথে রেশমী ও বোম্বে জিলাপী তৈরিতে ব্যস্ত। জানতে চাওয়া হলো ইফতার সামগ্রী তৈরিতে কোনো রঙের ব্যবহার হয় কিনা? তিনি রঙের ব্যবহার হয় না জানিয়ে বলেন, রং বিষাক্ত কেমিক্যাল। যা খেলে মানুষের ক্ষতি হয়। পবিত্র মাহে রমজানে যারা জেনে-শুনে এ কাজ করে তাদের ইবাদতের আর কিছুই থাকে না। আমরা সবসময়ই এ ধরনের বিষাক্ত রং এড়িয়ে চলি।
ইফতার সামগ্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের এখানে হরেক রকম ইফতার সামগ্রীর আয়োজন রয়েছে। আজ মাহে রমজানের প্রথমদিন, এদিন অনেকেই বাসাবাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে তৈরি ইফতার সামগ্রী দিয়ে ইফতার করে থাকেন। তাই প্রথমদিনে তেমন কেনা-বেচা না হলেও আশা করি রোজার অন্যান্য দিনগুলোতে ভালোই বেচা-কেনা হবে।
শহরের আজিজিয়া রেস্তোরাঁ, ক্যাফে জামান, ঢাকা হোটেল, আল-হেলাল হোটেল, ক্যাফে কর্নার, চাঁদপুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টসহ অনেক রেস্তোরাঁয়ই ছিলো বিভিন্ন আইটেমের ইফতার সামগ্রী।
রোজার প্রথমদিন তেলে ভাজা ইফতারের পাশাপাশি ফলফলাদির বেচা-কেনা ছিলো চোখে পড়ার মতো। অধিক চাহিদা ছিলো তরমুজ, বেল আর শসার। রোজার প্রথমদিন মাঝারি আকারের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১শ’ থেকে ১শ’ ২৫ টাকা। আর বড় আকারের বেল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আপেল প্রতি কেজি ২শ’ ৩০ টাকা, আঙুর ২শ’ ২০ টাকা, কমলা কেজি ৪শ’ টাকা, মালটা ২শ’ টাকা ও শসা ৬০ টাকা। চাহিদা ছিলো আনারসেরও। যা প্রতি পিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে ২০ টাকা। আর কাঁচা মরিচের দাম ছিলো ৮০ টাকা।