• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব উত্তরে এতিম ও আলেমদের সঙ্গে ইফতার করলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজান

প্রকাশ:  ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 এতিম শিশুদের ও আলেমদের সঙ্গে ইফতার করলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, মোহনপুর পর্যটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান। এতিম শিশুরা ছাড়াও ইফতারে আরো উপস্থিত ছিলেন আলেম-ওলামাগণ।
শুক্রবার প্রথম রোজায় মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটনের দ্যা শিপইনে এতিম শিশুদের ও আলেমদের সঙ্গে সবাইকে নিয়ে এ ইফতারে অংশ নেন কাজী মিজানুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মাদক-দুর্নীতি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের সকল মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে কাজী মিজানুর রহমান বলেন, একজন আলেম দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে গেলে মানুষ যেমন দিশেহারা হয়ে যায়, তেমনি কোনো আলেম চলে গেলে পুরো দেশ ও সমাজ দিশেহারা হয়ে যায়। আলেম-ওলামা না থাকলে মানুষ সঠিক পথ দিক-নির্দেশনা পাবে না, পৃথিবীর সব মানুষ মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়ে চতুষ্পদ জন্তুতে পরিণত হয়ে যাবে। তাই ইসলামে আলেম-ওলামাদের সম্মান ও মর্যাদা সর্বোচ্চ।
তিনি আরো বলেন, প্রকৃত আলেমদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অতি উচ্চে। সাধারণ মানুষের মাঝে আলেমরা হলেন নক্ষত্রতুল্য। যাদের অনুসরণ করার মাধ্যমে মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পেয়ে থাকে। আলেমরা আল্লাহর ওলি বা বন্ধু। তাদের সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করা আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করার শামিল। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির বা বন্ধুর সঙ্গে শত্রুতা করবে আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। (বুখারী : ৬৫০২)
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, রমজানে আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকি। দুপুরের পর থেকে ক্ষুধার মাত্রা বাড়তে থাকে। এক সময় মনে হয় আর যেন পারছি না। মাঝে মাঝে এমনও হয়, কাজকর্ম বাদ দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। আমাদের এ কষ্ট তখনই সার্থক হবে যখন আমাদের আশপাশে যারা না খেয়ে আছে সেসব ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবো, তাদের মুখে দুমুঠো খাবার নিশ্চিত করা একজন রোজাদারের কর্তব্য ও রমজানের অন্যতম শিক্ষা। আর এ জন্যই আল্লাহতায়ালা সামর্থ্যবানদের ওপর জাকাত, সদকাতুল ফিতরসহ দান-খয়রাত ফরজ করে দিয়েছেন। আমরা যদি দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে না পারি, ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, তাহলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যত বড় মুত্তাকিই হই না কেন, জাহান্নাম থেকে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। তাই সামর্থ্যবানদের উচিত ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
মোহনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম ছাত্র ও বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার আলেমগণ ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য, মোহনপুর পর্যটনের পরিচালক ও সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সদস্য কাজী গোলাম মর্তুজা, মোহনপুর পর্যটনের জিএম কাজী মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ (অবঃ) সার্জেন্ট মোঃ সাদেক মৃধা, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য বিল্লাল তপাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মতিন প্রমুখ ৷
ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়া এতিম শিশুদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেন কাজী মিজানুর রহমান।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ ওমর ফারুক।

 

সর্বাধিক পঠিত