ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র শবে বরাত পালিত
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় মঙ্গলবার রাতে পবিত্র শবে বরাত ১৪৪৪ হিজরী পালিত হয়েছে। রাতভর বিপুল সংখ্যক মুসল্লি চাঁদপুরের বৃহৎ ঐতিহাসিক পুরাণবাজার বড় মসজিদ ও হাজীগঞ্জ বড় মসজিদসহ জেলার সবগুলো মসজিদে সমবেত হয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। মহান আল্লাহর করুনা চেয়ে মহিমান্বিত রাত পবিত্র শবে বরাত পালন করেছেন মুসলমানরা। বিশেষ মোনাজাতে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে কান্নাররোল পড়ে যায়। দেশের সুখ সমৃদ্ধি উন্নতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ শান্তি কামনা করে মসজিদগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নেন।পবিত্র শবে বরাতের রাতে শহরে এবং গ্রাম গঞ্জের প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
হিজরী বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পবিত্র শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাত ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবে পরিচিত।
মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমান নর-নারীরা যার যার ঘরেও রাতভর মগ্ন ছিলেন ইবাদত বন্দেগিতে। অনেকে নফল রোজা রেখেছেন।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সওয়াব হাসিল আর গুনাহ্ থেকে পানাহ্ চাওয়ার রাত হিসেবে শবে বরাতের মর্যাদা অতুলনীয়। তাই নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, ইবাদত বন্দেগি, জিকির-আসকার, করব জিয়ারত আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ফজিলতের এই রাত পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পবিত্র শবে বরাত উদযাপন উপলক্ষে ৭ মার্চ মঙ্গলবার বাদ এশা পুরাণবাজার ঐতিহাসিক বড় মসজিদে “পবিত্র শবে বরাত এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ ও দোয়া মোনাজাত করেন ওই মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইব্রাহীম খলীল। মোনাজাতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য মৃত এবং জীবিত দোয়া করা হয়।
পবিত্র শবে বরাতের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সাধারণ মুসল্লিগণ অংশ নেন।
হাদিসে আছে মহিমান্বিত এই রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার তিনশ দরজা খুলে বান্দার সবচেয়ে কাছাকাছি প্রথম আসমানে নেমে আসেন। এই রাতেই মানুষের ভালো মন্দের আমলনামা তুলে ধরা হয় মহান আল্লাহ পাকের দরবারে।