• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় বন্ধ হচ্ছে না ভূমিদস্যুদের তাণ্ডবলীলা

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে না ভূমিদুস্যদের তাণ্ডবলীলা। সম্প্রতি এ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা বারবার সংবাদ প্রকাশ করলেও দেখা যায়নি প্রশাসনের বড় কোনো ভূমিকা। উপজেলার সর্বত্র চলছে ভূমিদস্যুদের ভেকু দিয়ে আবাদি ফসলি জমি থেকে ও বিভিন্ন কৃষি জমির প্রজেক্ট থেকে মাটি কাটা। এসব মাটি পরিবহনে অবৈধ ট্রাক্টর ও হাইড্রলিক পিকআপ চলাচলে কাঁচা-পাকা সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই।

এ প্রতিনিধি সম্প্রতি তথ্য সংগ্রহে ঘুরে-ফিরে দেখতে পান, কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের মাঝখানে কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বাছাইয়া ব্রিকফিল্ড সড়কের পূর্বপাশে বিশাল কৃষি জমির মাঠের প্রজেক্ট থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ ভেকু দিয়ে কতিপয় ভূমিদসু্যু প্রকাশ্যে ও রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে অবৈধ ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে কড়ইয়া, গোহট উত্তর, গোহট দক্ষিণ, আশ্রাফপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতেও চলছে ভূমিদস্যুদের রমরমা ব্যবসার তাণ্ডবলীলা। এদিকে পালাখাল মডেল ইউনিয়নের রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ সড়ক গেইটের পূর্ব পাশে একটি বিশাল কৃষি জমির মাঠের মাঝখানে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন।

বিষয়টি পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান হাবীব মজুমদার জয় নিশ্চিত করে বলেন, আমার ইউনিয়নসহ পাশাপাশি অন্য ইউনিয়নগুলোতে মাটি কেটে ও ড্রেজারে মাটি উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কৃষি জমি বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কিন্তু কিছু লোক এ নির্দেশনা অমান্য করে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে কৃষি জমি বিনষ্ট করে যাচ্ছে। আমরা জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন বলেন, সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির মাটি ভরাট ও ব্রিকফিল্ডসহ অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট কাজ করার জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা একটি ক্ষতিকর ও আত্মঘাতী কাজ। একজন কৃষক কৃষি মাঠ থেকে মাটি বিক্রি করলে, পাশাপাশি জমির কৃষকরাও মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকরা যেন মাটি বিক্রি না করে সেজন্যে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমরা উপজেলা প্রশাসনেরও সহযোগিতা চাচ্ছি। এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে যেন এসব বন্ধ করা হয়। যদি এসব মাটি বিক্রি বা মাটি কাটা বন্ধ করা না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যতই সার কীটনাশক ব্যবহার করি না কেন, আমাদের আবাদি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়বে।  
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান জানান, আমরা যেখানে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পাচ্ছি, সেখানেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তা চলমান রয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত