কচুয়ায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি
দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, ঠিক তখনই বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে
যারা এদেশে বাস করে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে তারা কখনোই দেশের মিত্র হতে পারে না : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রাজপথে মোকাবেলা করা হবে : আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির প্রতিবাদে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকেলে উপজেলার সাচার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চিহ্নিত চক্র দেশের শান্তি বিনষ্ট ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপি কর্মসূচির নামে বিভিন্ন প্রকার অযৌক্তিক দাবি নিয়ে সহিংসতা করে জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা অপরাজনীতির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আমরা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই সকল অপকর্ম শক্ত হাতে প্রতিহত করবো। এছাড়া তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, ঠিক তখনই বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আমরা শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়নের বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে চাই।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্নত আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আলো-বাতাস গ্রহণ করে যারা পাকিস্তানের সাথে এখনো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তারা বেঈমান-নাফরমান। আর যারা বাংলাদেশে বাস করে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে তারা কখনোই দেশের মিত্র হতে পারে না। আপনারা প্রস্তুত থাকুন, রাজপথে তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড মোকাবেলা করা হবে। তিনি ২০২৪ সালে নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা অতীতে ক্ষমতায় ছিলো এবং ক্ষমতায় আসতো, তারা তাদের আখের গোছানোর জন্য, ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্যে, অত্যাচার করার জন্যে, তাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্যে পাঁচ বছর কাজ করতো। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসছেন পাঁচ বছর দশ বছরের জন্যে নয়, তিনি এসেছেন বাংলাদেশের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জন্যে, ১০০ বছরের জন্যে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে ভালো থাকে তার জন্যে। উন্নয়নকে টেকসই করার জন্যে তিনি ১শ’ বছরের পরিকল্পনা নিয়েছেন। পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্রই ১শ’ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। তিনি শুধু পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি, তিনি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, অর্থায়ন করেছেন। হাজার হাজার কোটি লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে, রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করা। প্রধানমন্ত্রী যেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন আমাদের সবাইকে, ছাত্র, শিক্ষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারী সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত দোসরদের বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিএম আতিকুর রহমান, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাহজাহান শিশির ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছেল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিঃ ইব্রাহীম খলিল বাদল। একই দিনে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনুরূপ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।