মতলব দক্ষিণে তিন মাস বয়সী শিশুকে পানির ড্রামে ফেলে হত্যা

 মতলব দক্ষিণে আফসানা নামে তিন মাসের এক কন্যা শিশুকে পানির ড্রামে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিয়াইশ গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আফসানা কালিয়াইশ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বার বাড়ির রাজমিস্ত্রী আনিসুর রহমান প্রধানের মেয়ে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও শিশুর পরিবার। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুর বাবা-মা ও দাদীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াইশ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বারের বাড়ির প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাজমিস্ত্রী আনিসুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় সকালে কাজে চলে যান। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও মা মায়ানুর বেগম বাড়িতে ছিলেন। এ সময় স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩ মাস বয়সী) শিশু মেয়ে আফসানা আক্তারকে বসতঘরে ঘুম পাড়িয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে পানি আনতে যান। পানি নিয়ে ঘরে ফিরে দেখেন আফসানা ঘরে নেই। পরে আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আফসানার সন্ধান পাননি তার পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের চোখ পড়ে তাদের বসতঘরের সামনে রাখা একটি পানির ড্রামের দিকে। কৌতুহলবশত ওই ড্রামের ঢাকনা খোলার পর তারা সেখানে শিশু আফসানাকে দেখতে পান। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নারায়ণপুরে প্রাইভেট হাসাপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আফসানার বাবা আনিসুর রহমান বলেন, আমার কন্যাশিশুকে ড্রামের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা এখনই পরিষ্কারভাবে বলতে পারছি না।
খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু আফসানার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। তবে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নিহত শিশুর বাবা-মা ও দাদীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশু আফসানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নিহত শিশুর বাবা-মা ও দাদীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।