• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিক্ষকের হাতে প্রহৃত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ছাড়ার হুমকি

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ফরিদগঞ্জে শিক্ষকের হাতে প্রহৃত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন বিএসসি বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীকে মতের অমিলের অভিযোগে বেদম প্রহার করার অভিযোগ উঠে।
৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাছির উদ্দিন বিএসসি শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে ঠিকমত পাঠ না দেয়া ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জোর করে বাণিজ্য ও কলা বিভাগে পড়ার জন্যে নির্দেশ দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতের অমিল হওয়ায় রূঢ় হন শিক্ষক নাছির উদ্দিন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি এক পর্যায়ে তিনি ৯ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীদের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করেন। এদের মধ্যে তামিমা আক্তার, তানজিন লিজা, মিতু আক্তার, মাহিয়া আক্তার, ফারজানা আক্তার, ফাইজা আক্তার, তাসফিয়া সাবা অরিনসহ বেশ কজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা এই স্কুলে লেখাপড়া করতে অনীহা প্রকাশ করে অনেকেই বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, নাছির স্যারের কাছে এমনটা আশা করিনি। সরকার নিয়ম করেছে ক্লাসে বেত ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু তিনি শুধু বেত ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি ৯ম শ্রেণির এসব শিক্ষার্থীকে বিভাগ পরিবর্তেনের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন। বিদ্যালয়টিতে আর পড়াশোনা করবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক রিতা রাণী দেবীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা মৌখিক অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। প্রধান শিক্ষক আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্কীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ের কাজে বাইরে ছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
অভিভাবকগণের অভিযোগের বরাত দিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম আহমেদ জানান, শিক্ষকের বেত্রাঘাতের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছি প্রধান শিক্ষককে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক নাছির উদ্দিন বিএসসি জানান, ওইদিন ক্লাসে যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে পড়া পারেনি, তাদের তিনি বেত্রাঘাত করেছেন। ১৪০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি এমনটা করেছেন।

সর্বাধিক পঠিত