• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভেক্যুর দাপটে কমছে কৃষি জমি

প্রকাশ:  ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের দাপট শেষে নতুন করে শুরু হয়েছে আরেক যন্ত্রদানব ভেক্যুর প্রবল দাপট। নতুন এই দানবের কারণে কৃষি জমি কমতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে হাজীগঞ্জের কোনো না কোনো কৃষি জমির মাঠে ভেক্যু দিয়ে মাটি কেটে নেয়ার কারণে জমির উর্বরতা হারানোসহ কৃষি জমিগুলো পুকুরে বা গর্তে পরিণত হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভেক্যুর দাপট বন্ধ না করলে আসছে কয়েক বছরের মধ্যে কৃষি জমি খুঁজে নিতে কষ্ট হবে।
চাঁদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার চাঁদপুর থেকে যন্ত্রদানব ট্রাক্টর উচ্ছেদে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সফলতা পান। সেই থেকে চাঁদপুরে ট্রাক্টর চলাচল অনেকটাই বন্ধ রয়েছে। ট্রাক্টরের মতো ভেক্যু বন্ধে প্রশাসন উদ্যোগ নিলে অন্তত হাজীগঞ্জ থেকে ভেক্যু উচ্ছেদ হবার পাশাপাশি কৃষি জমি রক্ষা পাবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
ভেক্যু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে শুধু ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে না, এই মাটি দিয়ে নতুন বাড়ি বাঁধা হচ্ছে, খাল ডোবা, পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক জমির মালিক জানান, অভাবে পড়ে এক কোদাল মাটি (৬ ইঞ্চি উচ্চতা) বিক্রি করেছি। অপর প্রশ্নে এই কৃষক বলেন, টাকার দরকার, জমিতে ফসল না হলে কী করবো।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জের হাটিলা গ্রামের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আমাদের পাশে বিশালাকৃতির কৃষি জমি হতে ভেক্যু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর যে জমিতে ইরি-বোর ধান উৎপাদন হয়েছে, সেই জমি থেকেও দিনের পর দিন মাটি কাটছে ভেক্যু। কৃষি মাঠের মাটি কেটে পরিবহন করাকালে পাকা সড়কের ক্ষতি হচ্ছে, আর ধূলাবালিতে সড়কের পাশের বসতিগুলো নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, উপরিভাগের মাটি ভেক্যু দিয়ে কেটে নিয়ে যাবার কারণে কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত মাসিক সভায় এ বিষয়ে আমি কথা বলেছি। কৃষকরা যাতে তাদের জমি থেকে এভাবে মাটি বিক্রি না করে সেজন্যে চেয়ারম্যান মহোদয়গণ জমির মালিকদেরকে বোঝাবেন বলে আশা রাখি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ভেক্যু বন্ধে সহসাই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।

 

সর্বাধিক পঠিত