ফরিদগঞ্জে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ॥ দুই সহোদরের থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে জীবিকার সন্ধানে বাড়িতে না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বড় ভাইয়ের অভিযোগ, বারবার থানায় অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পিতার সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে মালিক বড় ভাই তবিকুর রহমান। কোনো উপায় না পেয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে জমি রক্ষার জন্যে ঘুরতে হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামে। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ওই ভাইয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ছোট ভাই হারুনুর রশিদ। এই জমি নিয়ে থানায় উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ২০১১ সালে তবিকুর রহমানের পিতা সিরাজুল হকের কাছ থেকে সাবকাবলা রেজিস্ট্রি মূলে সাড়ে সাত শতক জমির মালিক হন। তারপর থেকে নিজ দখলে চাষাবাদ করে আসছে। জীবিকার তাগিতে বাড়িতে না থাকায় তার ছোট ভাই হারুন অর রশিদ দখল করার পাঁয়তারা করছে এমন বিষয় জানতে পেরে তবিকুর রহমান নিজের জমিতে নির্মাণ কাজ করতে গেলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছোট ভাই হারুন অর রশিদ। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে মারামারি, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, তবিকুর রহমান ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক হয়ে দখলে আছেন। তার ভাই ইচ্ছাকৃতভাবে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে।
তবিকুর রহমান বলেন, আমার বাবার কাছ থেকে চৌহদ্দি দিয়ে আমি এই জমি ক্রয় করেছি। আমি ঢাকায় থাকি। এই সুযোগে সে আমার জমি দখল করার চেষ্টা করছে। আমি জানতে পেরে বাড়িতে এসে কাজ করতে গেলে সে বাধা দেয়। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। সে এলাকায় থেকে এ ধরনের কর্মকা- করে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়েছে সেই মামলা তার কাছে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় মামলা তুলে ফেলে। সে আমার বাবার কাছ থেকে জোর করে জমি রেজিস্ট্রি করছে। সে জন্যে বাবা তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে। সে আমাদের বোনদের জমি দিতে অস্বীকার করে। সে জন্যে বোনদের তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হয়েছে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুবিচার দাবি করছি।
অন্যদিকে তবিকুর রহমানের ছোট ভাই হারুন অর রশিদ বলেন, এইখানে আমারও জমি রয়েছে। এলাকায় অনেক বিচার হয়েছে সে আসেনি। সে আমার জমি উল্টো দখল করতে যাচ্ছে। আদালতে আমার মামলা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই বরকত উল্যা বলেন, আমি মারামারি ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। এই জমির মালিক তবিকুর রহমান। আমি তদন্ত করে মামলাটি আদালতে পাঠিয়ে দেবো।