• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় এসএসসির টেস্টে ফেল করা শিক্ষার্থীদের পুনঃপরীক্ষা

প্রকাশ:  ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার টেস্টে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করাতে পুনঃপরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পুনঃপরীক্ষা নেয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, একটি ছোট কক্ষে প্রতি বেঞ্চে ৩ জন করে বসিয়ে টেস্টে অকৃতকার্য হওয়ায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী গাঁদাগাঁদি করে পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন একাই হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য কোনো সহকারী শিক্ষক কিংবা কোনো অফিস সহকারীকে বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। পরীক্ষার হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে হল পর্যবেক্ষক সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন তাদের উপর চটে যান এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ইতিপূর্বে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষায় ১১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৫৮ জন কৃতকার্য হয় এবং ৫৭ জন অকৃতকার্য হয়। পরবর্তীতে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের পাঠদানে অবনতির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে শিক্ষকরা অকৃতকার্য ৫৭ জন পরীক্ষার্থীকে ফরম ফিলাপ করানোর উদ্দেশ্যে নামমাত্র পুনঃপরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরও বিধিবহির্ভূতভাবে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় আমরা বিস্মিত ও হতবাক। এ বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান নিয়ে আমরা হতাশ। 
তারা আরো জানান, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে সঠিকভাবে পাঠদান না করায় এ সকল শিক্ষার্থী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গণিত, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান ও রসায়নে অকৃতকার্য হয়েছে। ফলে কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টির সুনাম-সুখ্যাতি ক্রমান্বয়ে ম্লান হয়ে পড়ছে।
কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক সাথে অর্ধশত শিক্ষার্থী ফেল করার কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, যে সকল শিক্ষার্থী ফেল করেছে তাদের অভিভাবকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিচ্ছি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, যারা গণিত, ইংরেজি, জীববিজ্ঞান ও রসায়নের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়েনি, তাদেরকে ফেল করানো হয়েছে। যারা প্রাইভেট পড়েছে তাদেরকে আগের থেকেই প্রশ্ন কমন করে দেয়া হয়েছে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান এসব বিষয়ে জানান, ফেল করা পরীক্ষার্থীদের পুনঃপরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি এইমাত্র অবগত হয়েছি। ঘটনাটি সত্য হলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত