• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় আজ স্টেকহোল্ডার মিটিং

সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা-চাঁদপুর সদরের দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার

প্রকাশ:  ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর মতলব উত্তর (জামালপুর)-গজারিয়া (ভবেরচর) সড়কে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের স্টেকহোল্ডার মিটিং। মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর বাজার সংলগ্ন পাম্প হাউজ মাঠে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। এ মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন সেতু বিভাগের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আলহাজ্ব অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল এমপি। 
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্লান প্রণয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত পত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সভায় উপস্থিত হয়ে মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যে অবস্থিত মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু হলে ঢাকা থেকে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার কমে আসবে।
ঢাকা থেকে গৌরীপুর-মতলব উত্তর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলা সদরের বর্তমান দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। কিন্তু ঢাকা থেকে ভবেরচর হয়ে গজারিয়া উপজেলার সীমানার ওপর দিয়ে প্রস্তাবিত সেতু হলে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব হবে সর্বোচ্চ ৬৮ কিলোমিটার । ফলে দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার।
মতলব উত্তরের কালীপুর ও গজারিয়ার ভবেরচরের মধ্যে অবস্থিত ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু আজও সেতু নির্মাণ হয়নি। এই সেতুটি না থাকায় মতলব উত্তরের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পথে যাতায়াত করেন। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই।
জানা যায়, নদীকে বাঁচাতে নদীর দুই পাড়ে দুটি প্রধান পিলার নির্মাণ করা হবে। নদী বক্ষ থেকে ৩০ মিটার উঁচু দৃষ্টিনন্দন ঝুলানো তারে ব্রিজটি চার লেইনে নির্মাণ করা হবে। এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম দীর্ঘ তারে ঝুলানো ব্রিজ। যা আলোকিত অবস্থায় ৭০-৮০ কিলোমিটার দূর থেকে দৃশ্যমান হবে। ব্রিজটি নির্মিত হলে এটি দেশের সর্ববৃহৎ তার ঝুলানো ব্রিজ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
সর্বোচ্চ কম খরচে সেতুটি নির্মাণের জন্যে প্রাথমিক নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নদীর সবচেয়ে কম প্রশস্ত এলাকা চিহ্নিত করে নকশা প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া বসতবাড়ি যাতে কম ভাঙ্গা পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।
জানা যায়, উল্লেখিত নকশা অনুযায়ী বসতবাড়ি কম ভাঙ্গা পড়বে। আরো জানা যায়, তিনটি রিজিওনাল সেতুর নকশা প্রণয়নের জন্য বৈঠকে বসলেও এ সেতুটি নির্মাণের নকশাটি সবার আগে চূড়ান্ত করা হয়।
মতলব ও গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুরই নয়, সড়কপথে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।