মতলব-গজারিয়া সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভার স্থান পরিদর্শন ও প্রস্তুতি সভা
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নে কালীপুর বাজারে গজারিয়া-মতলব সংযোগ সেতু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে ২৯ নভেম্বর তারিখের জনসভার স্থান রোববার সকালে পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজাহান প্রধান, ছেংগারচর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন মোঃ ইয়াছিন ঢালী, ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকার, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা রহমত উল্লাহ চৌধুরী, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আনিস পাটোয়ারী, কালিপুর কলেজের প্রভাষক শরিফ হোসেনসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরপর ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা থেকে গৌরীপুর, মতলব উত্তর উপজেলা সদর হয়ে চাঁদপুর জেলা সদরে বর্তমান দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে ভবেরচর হয়ে গজারিয়া উপজেলার সীমানার উপর দিয়ে বর্তমান প্রস্তাবিত সেতু। মতলব কালীপুর-গজারিয়ার ভবেরচর সেতু নির্মাণ হলে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব হবে ৬৮ কিলোমিটার। সেতু নির্মিত হলে ঢাকা-চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার সড়ক পথ কমে যাবে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের ভ্রমণ ব্যয় কমবে একই সাথে ভ্রমণ সময়ও কমবে প্রায় এক ঘন্টা। মতলব-গজারিয়া সেতুর কাজ শুরু হবে জানার পর থেকে এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
এলাকাবাসী জানায়, মেঘনা নদীতে সেতু নির্মিত হলে চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরিয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন রাজধানী ঢাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও মতলব উত্তরে নির্মিত হতে যাওয়া অর্থনৈতিক জোনসহ চাঁদপুরের কৃষি, শিল্প ও পর্যটন খাতের বিকাশেও সেতুটির অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।