অপপ্রচারে যেনো বন্ধ হয়ে না যায় জনস্বার্থের বৃহৎ কর্মকা-টি
পূর্বের অনেক বড় বড় জ্ঞানী ব্যক্তি বলতেন ‘বড় কিছু পেতে হলে ছোট কিছু হারাতে হয়’ বা ‘একটি বিশাল জনরাশির ভালোর ক্ষেত্রে ছোট সমস্যা চক্ষুর আড়াল করতে হয়’। তবে এক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সমাজের অল্পকিছু সংখ্যক মানুষ। তারা ওইসব ছোট ছোট সমস্যাকে এতো বড় করে দেখান যে, পরে বিশাল সেই জনগোষ্ঠীর জন্যে হিতকর কাজটি আর হয়ে উঠে না, বা বড় সেই অর্জনটি সেই ছোট সমস্যার কারণে আড়াল হয়ে পড়ে থাকে। ঠিক তেমনটিই হয়েছে চাঁদপুর সরকারি কলেজের দেয়াল নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে।
গতকাল ২৭ নভেম্বর রোববার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল চাঁদপুর কর্তৃক জনস্বার্থে চাঁদপুর পৌরসভার রাস্তা সম্প্রসারণ ও কলেজের উত্তর পাশের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ কাজটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেয়া হয় আরকে ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। বাউন্ডারির ভেতরে থাকা কিছু গাছ ছিলো, যা সাধারণ মানুষ চলাচলের বিঘœও ঘটাতো। কাজের অংশ হিসেবে সেসব গাছ কেটে ফেলায় শুরু হয়েছে নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনা বা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। এমনকি বাংলাদেশের সুপরিচিত, স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজকে সৌন্দর্যম-িত করার লক্ষ্য নিয়ে যিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশকে নিয়েও শুরু হয়েছে নানা অপপ্রচার। যেসব গাছের কথা বলা হচ্ছে, সেসব গাছের আশপাশের স্থানের কেউ দিনের বেলায়ও যেতে পারতেন না ময়লা আবর্জনার জন্যে। যেসব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, সেসব গাছের ডালপালা রাস্তায় চলাচলকারী জণগণের গায়ে পড়তো এবং অনেকে আহতও হতো। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, চাঁদপুর শহরের দীর্ঘদিনের বড় সমস্যা হচ্ছে যানজট। সেই যানজট নিরসনের জন্যে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল যে কাজ করে যাচ্ছেন, উক্ত কাজটি যানজট নিরসনেও ভূমিকা রাখবে বলে জানা যায়। সুধীজনদের দাবি, অপপ্রচারের কারণে যেনো জনস্বার্থের এ বৃহৎ কাজটি থেমে না যায়।
এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, কলেজের উত্তর পাশের দেয়ালের ভেতরের কিছু জায়গা অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন ছিলো। এছাড়াও দেয়ালটি ছিলো জরাজীর্ণ। তার কারণে শিক্ষা প্রকৌশল চাঁদপুর কর্তৃক জনস্বার্থে পৌরসভার রাস্তা সম্প্রসারণ ও কলেজের উত্তর পাশের নান্দনিক বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সেই কাজটি পায় আর কে ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা কাজ করতে গিয়ে কলেজের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেয়ালের ভেতরে থাকা কিছু গাছ কেটে ফেলে, যা আমাদেরকে অবহিত করা হয়নি। আমরা কলেজে আসলে গাছ কাটার দৃশ্যটি চোখে পড়ে। যা আমরা জেলার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়াও আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাজ করছি, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এরই মাঝে কিছু কিছু মানুষ হয়তো ভুল বুঝে আমাকে নিয়ে অপপ্রচার করছে, যা আসলেই দুঃখজনক।