রাম কাননের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
‘আমরা সবাই রাম কানন, নেতা মোদের সত্যনারায়ণ’ এ আবেগ-অনুভূতিকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হয়েছে রাম কাননের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার চাঁদপুর শহরস্থ শ্রীশ্রী কালীমন্দির প্রাঙ্গণে সকাল পৌনে ৮টায় রাম কাননের ভক্ত অনুরাগীরা মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ¦লনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। পরে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীশ্রী রামঠাকুরের ফল ভোগ, অন্ন ভোগ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় সত্য নারায়ণ, মোটরচালিত শববাহী গাড়ি প্রদান এবং রাত ৯টায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মহা হরিনাম সংকীর্ত্তন। হরিনাম কীর্ত্তন পরিবেশন করেন ভারতের আসাম রাজ্য হতে আগত প্রভাতী সংঘের কীর্ত্তনীয়া দল। অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলা পর্যায়ে শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের ভক্ত, শিষ্য, অনুরাগীদের ব্যাপক সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। তাদের হরিনাম কীর্ত্তনে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে উঠে। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ।
রাত সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর মহাশ্মশানের জন্য মোটর চালিত একটি শববাহী গাড়ির চাবি হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিকের হাতে তুলে দেন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মায়া কাননের আহ্বায়ক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ গৌতম দত্ত (বাপ্পী), যুগ্ম আহ্বায়ক উৎফল মজুমদার আশীষ, সদস্য সচিব ডাঃ সুকান্ত ঘোষ। এ সময় হরিবোলা সমিতির অন্যতম কর্মকর্তা প্রবীর পোদ্দার, শংকর কুমার কিশোর, বিকাশ মজুমদার টিটু, অমল রক্ষিত মনা, মায়া কানন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দীপ্ত ঘোষ, মিথুন সরকার, স্বপ্না ভট্টাচার্য, কাজল সাহা, রিপন দাস, শংকর দে, স্বজল কুমার দাস, লক্ষ্মণ পোদ্দার প্রমুখ।
গাড়ির চাবি গ্রহণকালে হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ মায়া কানন চাঁদপুর মহাশ্মশানের জন্য মোটরচালিত শববাহী গাড়ি প্রদানের মধ্য দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ কাজের মধ্য দিয়ে তাদের সেবামূলক কাজের মানসিকতা ফুটে উঠেছে। আমরা যত অর্থ বিত্তের মালিক হই না কেন, আমাদের সকলেরই ঠিকানা মহাশ্মশান, সকলকেই একদিন এ স্থানে যেতে হবে। আজ চাঁদপুরবাসী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ভক্তবৃন্দের অনুদানে চাঁদপুর মহাশ্মশানের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আরো উন্নয়নমূলক কাজ বাকি রয়েছে। এই উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। চাঁদপুর মহাশ্মশানে শুধু শহরের শবদেহগুলোরই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় না, মতলবসহ অনেক দূর-দূরান্ত থেকেও মৃতদেহ সৎকারের জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়। মায়া কাননের দেয়া শববাহী গাড়ির কল্যাণে এ সকল শবদেহ আনার ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিদের পরিবার-পরিজন অনেক উপকৃত হবেন।