• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ডাঃ দীপু মনিসহ ১৪ দেশের ১৪ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন

প্রকাশ:  ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 পাবলিক সার্ভিস ও ডিপ্লোমেসিতে অবদান রাখায় এ বছর ‘গুসি শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। গুসি শান্তি পুরস্কারটি ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন দ্বারা দেয়া হয়। এটি এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে দেয়া হয়, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখে। এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার গুসি পিস পুরস্কার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে আয়োজন করা হয়। এটি ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ডাঃ দীপু মনিসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন ও ফিলিপাইনের ১৪ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন।

নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য আইন, স্বাস্থ্য-নীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি ছিলো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ডাঃ দীপু মনির প্রাগ্রাধিকার ক্ষেত্র। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার কেবিনেট মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে তাঁর দলীয় নেত্রীর এবং দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তাছাড়া লেখালেখি, শিক্ষকতা, পরামর্শ প্রদান, গবেষণা, অ্যাডভোকেসি কর্মসূচি পরিচালনা ইত্যাদি বহুবিধ কাজের পাশাপাশি ডাঃ দীপু মনি এমপি দুঃস্থ ও চিকিৎসা সেবাবঞ্চিত মানুষের সেবায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন প্রণয়নে জনমত গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ডাঃ দীপু মনি প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি এবং নীতিনির্ধারণমূলক প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ততায় একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি দলীয় নারী কর্মীদের জন্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এ প্রশিক্ষণে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুজন মাস্টার ট্রেইনারের অন্যতম।
ডাঃ দীপু মনি দেশের সেরা চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেল্থ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
ডাঃ দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বাবা ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি প্রথম কাউন্সিল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকার জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
ডাঃ দীপু মনির স্বামী দেশের অক্সফোর্ড শিক্ষিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নাওয়াজ। তৌকির রাশাদ নাওয়াজ এবং তানি দীপাবলি নাওয়াজ নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তথ্যসূত্র : ইত্তেফাক ও সমকাল।