• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর-দখল ঘর নির্মাণ ॥ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন অসহায় হোসনেয়ারা বেগম

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
 আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় পাকা বসতঘর নির্মাণ করছেন প্রভাবশালী আঃ আজিজ খান। আজিজ খান গংয়ের হাত থেকে ভূমি উদ্ধারসহ নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন জমির মালিক মৃত আব্দুল হামিদ খানের স্ত্রী অসহায় হোসনেয়ারা বেগম। 
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম মৈশাদীর অলি উল্যাহ ওয়ারিশ সূত্রে পৈত্রিক .৩০২৫ একর ও খরিদ সূত্রে .৫০ একর মোট .৮০২৫ একর ভূমির মালিক ও দখলাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার স্ত্রী আরাফাত নেছাক, মোঃ আব্দুল হামিদ খান, মোঃ আছলাম খান, আঃ আজিজ খান, মোঃ আবুল খায়ের, মোঃ আমির হোসেন খান, আঃ কাদের খান, মোঃ লুৎফর রহমান খান, আবুল ফজল খানসহ মোট ৮ পুত্র ও মোসাম্মৎ সামছুন নাহার, মোসাম্মৎ সুফিয়া বেগম, মোসাম্মৎ নুরজাহান খানসহ ৩ মেয়ে উক্ত ভূমির মালিক হন। এই ভূমির মধ্যে স্ত্রী .১০ একর ও প্রত্যেক পুত্র .৭৩৯ একর এবং প্রত্যেক কন্যা .০৩৬৯ একর সম্পত্তির মালিকানা লাভ করেন।
পরবর্তী সময় মোঃ আঃ হামিদ খান মৃত্যুবরণ করলে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্য .০৭৩৯ একর ভূমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা লাভ করেন মৃত হামিদ খানের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ও তার সন্তান ফাতেমা খানম, সাহিদা খানম (রোজী) ও কামরুনাহার খানম। তারা সরকারি নিয়ম-রীতি মেনে প্রাপ্য নাল ভূমি ভিটিতে রূপান্তরিত করেন এবং তার কিছু অংশে বসতঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে ঝড়ো হাওয়ার মত উদয় হয় মৃত মোঃ অলি উল্ল্যাহ খানের পুত্র প্রভাবশালী আঃ আজিজ খান গং। তিনি হোসনেয়ারা বেগমের ভূমি নিজের ভূমি বলে দাবি করেন। অথচ বিবাদী আঃ আজিজ খান ২০০২ সালে তার প্রাপ্য ১৭.২৫ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তির স্থলে ১৮ শতাংশ ভূমি মৈশাদীর মোঃ রেজাউলের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শামছুন্নাহারের নিকট বিক্রি করে দেন। যার দলিল নং-১২৭০। মালিকানা ভূমির চেয়ে অধিক পরিমাণ ভূমি বিক্রি করার মধ্য দিয়েই ফুটে উঠে তার ভূমিদস্যুতার মন-মানসিকতা। 
পরবর্তী সময়ে মোঃ আজিজ খান হোসনেয়ারা বেগমের অজান্তে ভুয়া দলিল তৈরির মাধ্যমে তার ভূমি আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত হন এবং হোসনেয়ারা বেগমের মালিকানা সম্পত্তি নিজের সম্পত্তি হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একটি ঘর বরাদ্দ নেন। বরাদ্দকৃত ঘরটি হোসনেয়ারা বেগমের মালিকানা ভূমিতে জবরদখল করে তোলার চেষ্টার বিষয়টি বুঝতে পারলে হোসনেয়ারা বেগম গং বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন। সেইমতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত ভূমিতে সকল প্রকার স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু প্রভাবশালী আজিজ খান গং বিভিন্ন উপায়ে তার চক্রান্ত ও জমি দখল প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে থাকেন। তারই প্রক্রিয়ায় তিনি দলবল সহকারে হোসনেয়ারা বেগমের ভূমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাকাবসত ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। বহু বাধা দিয়েও অসহায় হোসনেয়ারা বেগম আঃ আজিজ খান গংয়ের বসতঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া থামাতে না পেরে আইনের আশ্রয়গ্রহণ পূর্বক আজিজ খানের হাত থেকে ভূমি রক্ষাসহ নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।