• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাচ্ছে নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার

প্রকাশ:  ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব-উল-আলম লিপন ও কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে একই পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনু আক্তারের নানা অভিযোগকে মিথ্যাচার এবং কুৎসা রটনা উল্লেখ করে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অন্য কাউন্সিলরগণ। গতকাল শনিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১৫ জন কাউন্সিলর। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সকল কাউন্সিলরের পক্ষে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ জাহিদুল আজহার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহসিন ফারুক বাদল, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মনির ও ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন। 
লিখিত বক্তব্যসহ প্রাসঙ্গিক আলোচনায় কাউন্সিলরগণ বলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনু আক্তার গত ৩১ অক্টোবর নিজ নামীয় ফেসবুকে পোস্ট, ১ নভেম্বর ফেসবুক লাইভে এবং ৩ নভেম্বর চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, যা অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে শৃঙ্খলা পরিপন্থী। একটি মহল হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এবং মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্যে তার পেছনে এ জঘন্য কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হলো, সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে মহল বিশেষের প্ররোচনায় মিনু আক্তার এসব করছে। গত ৩১ জুলাই সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে আমান উল্লাহ মৃধাসহ ৫জন বাদী হয়ে মেয়র বরাবর অভিযোগ (নং-১৯৫/২০২২) দায়ের করেন। সে অভিযোগের ২নং বিবাদী হচ্ছেন কাউন্সিলর মিনু আক্তারের পিতা আনোয়ার হোসেন ছিডা। পৌর মেয়র এ অভিযোগের বিষয়টি নিরসন করার জন্যে পৌর ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেন। এর কার্যক্রম চলমান থাকাবস্থায় ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর মিনু আক্তার আকস্মিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়র এবং কাউন্সিলর কাজী মনিরের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার এবং কুৎসা রটায়। যা দেখে আমরা অন্য কাউন্সিলরগণ হতভম্ব হয়ে যাই। এরপর আবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেছে। কাউন্সিলর মিনু আক্তারের একের পর এক এসব কর্মকা- মূলত হাজীগঞ্জ পৌরসভাকে মানুষের কাছে হেয় করা। আর এটি করছে মহল বিশেষের ইন্ধনে। ইতিমধ্যে মিনু আক্তারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা আইনিভাবেই ফয়সালা করবো। কাউন্সিলর মহসিন ফারুক বাদল ও বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মিনু আক্তারও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মিনু আক্তারের অভিযোগ যদি সত্য হতো, তাহলে সে অন্তত আমাদের কাছে বলতে পারতো। অথচ এসব কোনো কথাই সে আমাদের বলেনি। 
সবশেষে আমরা বলবো, মিনু আক্তারের যদি কোনো অভিযোগ থাকতো, তাহলে সে ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারতো। কিন্তু তা না করে, তাঁদের কাছে প্রতিকার না চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।