ফরিদগঞ্জে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান
ফরিদগঞ্জে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে এক নারী তার স্বামীর বাড়িতে অনশন ও অবস্থান করেছে। যদিও টানা ৬ ঘন্টা অবস্থান করার পর রাতে ওই নারীর স্বজনরা তাকে নিজ বাড়ি শাহরাস্তিতে নিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার দক্ষিণ সূচীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক শিক্ষক শামছুল হকের মেয়ে শারমিন আক্তার (২৪) গত মঙ্গলবার ২৫ অক্টেবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম গোবিন্দপুর পাটওয়ারী বাড়িতে সহিদুল্লা পাটওয়ারীর ছেলে প্রবাসী আঃ আউয়ালের স্ত্রী দাবি করে হাজির হন। তাকে পুত্রবধূর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিতে অনুরোধ করে শারমিন ওই পরিবারের কাছে। কিন্তু তিনদিন আগে পুনরায় প্রবাসে পাড়ি জামানো আঃ আউয়ালের পরিবার তাকে ঘরে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সে ঘরের সামনে বিকেল থেকে অনশন করে ও অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলমের সহযোগিতায় শারমিনের পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে শাহরাস্তি নিয়ে যায়।
শারমিন আক্তার জানান, সৌদি প্রবাসী আঃ আউয়ালের সাথে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার শাহরাস্তিতে বিয়ে হয়। এর আগে তার সাথে আউয়ালের মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু আউয়াল তাকে ঘরে না তুলে তিনদিন পূর্বে পুনরায় প্রবাসে চলে যাওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে পুত্রবধূর মর্যাদার জন্যে শ^শুর বাড়িতে আসেন।
আঃ আউয়ালের পিতা বৃদ্ধ সহিদ উল্যা জানান, তার ছেলে দেশে আসার পর তাকে কৌশলে শাহরাস্তি ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করে শারমিন ও তার পরিবার। এ নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ আউয়াল বিদেশ চলে যাওয়ার পূর্বেও ওই মেয়ের সাথে ঘর করবে না বলে নিশ্চিত করে যায় তাদের। ফলে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেয়ার প্রশ্নই উঠে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলম জানান, ঘটনা শুনে তিনি ওই নারীর সাথে কথা বলেছেন। বিয়ের তথ্য প্রমাণ শারমিনের কাছে ছিল না। পরে রাতে তার স্বজনরা এসে তাকে শাহরাস্তিতে নিয়ে যায়।