ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তা-বে উড়ে গেলো চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স রুমের চাল
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তা-বের চিহ্ন একে একে বের হয়ে আসছে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ের তা-বে। কলেজের কনফারেন্স রুমের সম্পূর্ণ চাল উড়ে নিয়ে গেছে। ঝড়ে চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে কলেজ ভবনের পাশে পুকুরে ফেলেছে। সাথে বৈদ্যুতিক পাখা যা ছিল সব পুকুরে। গতকাল বুধবার সরজমিনে গিয়ে মেডিকেল কলেজের এই ব্যাপক ক্ষতির চিহ্ন দেখা গেলো।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার রাতে চাঁদপুরে আঘাত হানে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী আচমকা আচমকা ঝড়ের তা-বে চাঁদপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, ঘরের চালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল দুপুরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজেরও এমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খবর পেয়ে এই প্রতিবেদক সরজমিনে কলেজে যান। আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় অবস্থিত মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক জামাল সালেহ উদ্দীনের সাথে কথা হয়। তিনি তখন এই প্রতিবেদককে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় জানালেন। অধ্যক্ষসহ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা ভবনের ছাদে একটা টিনশেড সেমি-পাকা রুম করা হয়েছিল কলেজের কনফারেন্স রুম হিসেবে। সোমবার রাতে চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তা-বে এই কনফারেন্স রুমের পুরো চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ভবনের পাশে পুকুরে গিয়ে পড়ে চালগুলো। সাথে সব সিলিং ফ্যানও গিয়ে পুকুরে পড়ে।
অধ্যক্ষ জানালেন, দেড় মাসের মতো হয় সরকারি বরাদ্দে এই কনফারেন্স রুমটি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের কনফারেন্স হতো। ঝড়ের তা-বে পুরো চাল এবং সব সিলিং ফ্যান উড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ লক্ষাধিক টাকা হবে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে রুমটি আরো ভালোভাবে মজবুত করে তৈরি করে দিবে।