• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মহালয়ার প্রথম প্রহরে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তিল তর্পণ

প্রকাশ:  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 প্রয়াত পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে তিল তর্পণ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দ। গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে কয়েকশ’ হিন্দু নারী, পুরুষ মন্ত্রপুত হয়ে তিল তর্পণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের গতকাল ছিল শুভ সুচনা। এদিন অনুষ্ঠিত হয় মহালয়া। এই মহলয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার বোধন শুরু হয়। এ দিনটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন অনেকেই ভক্তি বিশ্বাস নিয়ে তাদের পিতৃ পুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে জল, পি- দান করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। এদিন তারা কোমর সমান জলে দাঁড়িয়ে তিল তর্পণ ক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তাদেরকে এ কাজে সহায়তা করেন চাঁদপুর কালীবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত কমল চক্রবর্তী ও দিলীপ চক্রবর্তী। এ সময় আয়োজক ভক্তবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিঃ কেশব লাল কর, দেবেশ চন্দ্র সাহা দেবু, গোবিন্দ সাহা, অরুপ কুমার শ্যাম, ফনী ভূষণ চন্দ, প্রবীর পোদ্দার, বিকাশ মজুমদার টিটু, রতন কুমার মিত্র, অর্জুন সাহা, সঞ্জীত পোদ্দার, সুবাস সাহা, সঞ্জয় কু-ু, শিবু মজুমদার, রতন দাস, লিটন মজুমদার, নারু মজুমদার প্রমুখ। এদিন তিল তর্পণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইচ্ছুক নারী, পুরুষ সকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে জড়ো হতে থাকে। সকাল ৬টার মধ্যেই তারা সমবেত হয়ে প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর ঘাটে যান এবং কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে তারা তর্পণ ক্রিয়া কর্ম সম্পন্ন করেন। এতে অংশ নিতে আসা নারীদের কাপড় পাল্টানোর জন্যে নদীর পাড়ে অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থাও করে কর্তৃপক্ষ। আগত সকল ভক্তের জন্যে কালীবাড়ি মন্দিরে প্রসাদ গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 
উল্লেখ্য, গত ১৪২৪ খ্রিস্টাব্দে কালীবাড়ি মন্দিরের কর্মকর্তা গোবিন্দ সাহাসহ ক’জন ভক্ত এই তিল তর্পণের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই সময় তেমন কোনো ভক্তের উপস্থিতি পরিলক্ষিত না হলেও ধীরে ধীরে ভক্তবৃন্দের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গতকাল ভক্তবৃন্দের ব্যাপক উপস্থিতিতে আয়োজকগণ ব্যাপক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দগণ মনে করেন, এদিন পূর্বপুরুষগণ জল গ্রহণ করার জন্যে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পি- পাওয়ার আশায়। প্রয়াতদের এদিন ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে জল, পি- প্রদান করতে পারায় তাদের কাছে মহালয়ার দিনটি একটি পুণ্য তিথি বলে বিবেচিত হয়।