• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সহসা খুনি ধরা পড়বে বলে পুলিশ আশাবাদী

প্রকাশ:  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর শহরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর রফিকুল্যাহ কোম্পানি (৬৭) হত্যাকা-ের ঘটনায় এখনো ঘাতক চিহ্নিত হয়নি। তদন্তে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। সহসা খুনি ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঘটনার তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা।
২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পূর্বাপর যে কোনো সময় চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার লন্ডনঘাটস্থ সফিনা আবাসিক হোটেলের পিছনে নিজবাসায় বিশ্রাম নেয়ার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে রফিকুল্যাহকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে নিহত রফিকুল্যাহর বাসার কেয়ারটেকার মিরাজ হোসেনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে একাধিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও তার রাজনৈতিক সতীর্থরা জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্যাহ একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শহীদুল্যাহ জাবেদের ছোট ভাই। তাঁর কোনো শত্রু থাকতে পারে না। নৃশংস এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ জানান, ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টরকে। রোববার রাতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে এ সময় বাসায় তিনি একা ছিলেন।
নিহত রফিকুল্যাহ কোম্পানির ময়নাতদন্ত রোববার সকালে চাঁদপুর মর্গে সম্পন্ন হয়। পরে স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলে বাদ জোহর হোটেল সফিনার পেছনে হেদায়েতুল্লাহ কোম্পানির বাড়ির প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ পেশাজীবী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী জানাজায় এবং দাফনে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘাতককে চিহ্নিত এবং ধরার জন্য মাঠে তৎপর রয়েছে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ বলেন, রফিক ভাইকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তারা কতোটা নিষ্ঠুর তা না দেখলে বুঝতাম না। সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, নির্মম এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের এখনই খুঁজে বের করতে হবে। 
এদিকে হত্যাকা-ের আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি, ডিবি ও পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রফিকুল্যাহর কেয়ারটেকার মিরাজ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। আরও ক’জনের প্রতিও নজরদারি রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ব্যক্তিজীবনে বেশ সৌখিন ও অমায়িক স্বভাবের মানুষ ছিলেন রফিকুল্যাহ। তিনি বিবাহিত ছিলেন।
চাঁদপুর শহরের লন্ডনঘাট এলাকায় তাদের পারিবারিক ব্যবসা সফিনা আবাসিক হোটেলের পাশে ২য় তলার একটি কক্ষে একাই তিনি বসবাস করতেন। রফিকুল্যাহ একটি বরফ কলের মালিক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বড় ভাই শহীদুল্যাহ জাভেদ পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন।